বিশ্বের ‘ত্রি মিলিয়নিয়ার’ পোর্টের তালিকায় চট্টগ্রাম

আল রাহমান ।।

বিশ্বের ‘ত্রি মিলিয়নিয়ার’ পোর্টের তালিকায় চট্টগ্রাম
‘ত্রি মিলিয়নিয়ার’ পোর্টের তালিকায় চট্টগ্রাম
 

বিশ্বের ত্রি মিলিয়নিয়ার পোর্টের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটি । চলতি বছর ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করায় এ গৌরব অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। বিশ্বে এ ধরনের বন্দর আছে ৬০টি।

এর আগে মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সাময়িকী লয়েডস লিস্টের জরিপে বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী সমুদ্রবন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছিল। 

বন্দর সূত্র জানা গেছে, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় ২০ ফুট দীর্ঘ (টিইইউ’স) ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড করে চট্টগ্রাম বন্দর। গত ১ জানুয়ারি থেকে এ হিসাব শুরু হয়।    

বন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা, নতুন নতুন গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত ব্যবস্থাপনা, অটোমেশন, বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা, বন্দর ব্যবহারকারী স্টেক হোল্ডারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, এক দশকের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের ধারাবাহিকতা, আমদানি রফতানি বৃদ্ধির কারণে এ মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রবৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে বন্দরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি বে টার্মিনাল নির্মাণের বিকল্প নেই।

...বন্দরের সবচেয়ে বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও চিটাগং কনটেইনার টার্মিনালে (সিসিটি)। এ দুইটি টার্মিনালের অপারেটর মেসার্স সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় ৩০ লাখ কনটেইনারের মাইলফলক ছুঁয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সিসিটি, এনসিটি, জিসিবি, কমলাপুর আইসিডি, পানগাঁওসহ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সব কনটেইনার হ্যান্ডলিং যোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। যদিও এখনো ক্যালেন্ডার ইয়ার শেষ হতে আরও ১০ দিন বাকি রয়েছে।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের এ পর্যন্ত শুধু এনসিটি ও সিসিটিতে হ্যান্ডলিং হয়েছে ১৭ লাখের বেশি কনটেইনার।

শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ত্রি মিলিয়নিয়ার পোর্টের তালিকায় উঠেছে এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো খবর। আমরা খুবই খুশি। এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি)কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে বে টার্মিনালের কাজকে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিতে হবে।