ফাইনাল হলোনা বৃষ্টির কারণে , বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান যৌথ চ্যাম্পিয়ন

ফাইনাল হলোনা বৃষ্টির কারণে ,  বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান যৌথ চ্যাম্পিয়ন
নানো হয়েছিল রাত ৯টা ৪০ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু না হলে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল ম্যাচটি পরিত্যক্ত ষোষণা করা হবে। কিন্তু দুপুর থেকেই থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টি সন্ধ্যার পর যখন থামার নাম নিচ্ছিল না, তখন আর ওই সময় পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেননি ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
রাত  ৯টার দিকেই জানিয়ে দেওয়া হয় ম্যাচ আর হচ্ছে না আর যেহেতু কোনো রিজার্ভ ডে নেই তাই দুই দলই পাবে শিরোপার ভাগ। অর্থাৎ বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান সিরিজের যৌথ চ্যাম্পিয়ন।
প্রতিপক্ষের সঙ্গে ভাগাভাগি করলেও এই প্রথম কোনো বহুজাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে শিরোপার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে উঠেছিল তারা, দুই বছর পর ফাইনাল খেলেছিল শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতেও। কিন্তু দুটো আসরেই ভারতের কাছে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয় টাইগাররা, ঘরের মাঠে এবার আর সেই আক্ষেপে পুড়তে হয়নি সাকিব আল হাসানের দলকে। শিরোপা জয়ের আনন্দ নিয়ে ফিরতে পারছে রশিদ খানের আফগানিস্তানও।
বাংলাদেশে এসে দুর্দান্ত সময়ই কাটিয়েছে আফগানিস্তান। সফরের একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয়নি তারা। পাত্তা দেয়নি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতেও। দ্বিতীয়টিতে অবশ্য হার দেখতে হয়েছে তাদের। তবে এই সফরে অর্জনের ঝুলিটা যথেষ্টই সমৃদ্ধ হয়েছে আফগানদের। তাদের কাছে টানা হারের যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ, ফাইনাল জিতে সেই যন্ত্রণা দূর করতে চেয়েছিল তারা। তাদের সেই চাওয়ায় জল ঢেলে দিয়েছে বৃষ্টি।
জমজমাট এক ফাইনাল দেখার জন্য মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ২৫ হাজার দর্শক। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খেলা শুরুর অপেক্ষায় ক্ষণ গুনেছেন তারা। সেই অপেক্ষা আর ফুরোয়নি। খেলা তো হয়ইনি, উল্টো কাঁকভেজা হয়ে ফিরতে হয়েছে বাড়ি। তবে যাওয়ার আগে দুই অধিনায়কের প্রশংসা পেয়েছেন তারা। রশিদ খান যেমন বললেন, ‘যে দর্শক আমরা পেয়েছি, তা ছিল দুর্দান্ত। ফল পাওয়ার জন্য ম্যাচটা অবশ্যই খেলতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু আবহাওয়ার ওপর তো কারও হাত নেই।’
টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান বললেন, ‘দর্শকদের জন্য এটা হতাশার। তারা ভালো একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখার উচ্চাশা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু হতাশাজনক, আমরা তো আর বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’