চট্টগ্রামের ৫ আসনে আ. লীগের ৫ নতুন প্রার্থীর মনোনয়ন অনুভূতি

চট্টগ্রামের ৫ আসনে আ. লীগের ৫ নতুন প্রার্থীর মনোনয়ন অনুভূতি
চট্টগ্রামের ৫ আসনে আ. লীগের ৫ নতুন প্রার্থীর মনোনয়ন অনুভূতি

বিশেষ প্রতিবেদক ।। 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ৫ আসনে এবার আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সভাপতিসহ ৫ নতুন প্রার্থী দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তাছাড়া ১১ আসনেই আগের সংসদ সদস্যদের বহাল রাখা হয়েছে।

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় নতুন প্রার্থীরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় সর্বপ্রথম মহান রাব্বুল আলা আমিনের প্রতি শুকরিয়া প্রকাশ করেছেন পাশাপাশি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে দলের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।

চট্টগ্রাম–১ মীরসরাই আসনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এই আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল। মনোনয়ন পেয়ে তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। গতকাল নির্বাচন কমিশন থেকে তার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

চট্টগ্রাম–২ ফটিকছড়ি আসন থেকে প্রথমবারের মতো সরাসরি নির্বাচনের জন্য দল থেকে মনোনয়ন পান সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে কোনো মহিলা প্রার্থীকে সরাসারি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ এবার মনোনয়ন দিয়েছেন। এজন্য তিনি সর্বপ্রথম মহান রাব্বুল আল আমিনের প্রতি শুকরিয়া প্রকাশ করে বলেন, ফটিকছড়ির উন্নয়নে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি দলের আমাদের চট্টগ্রামের অভিভাবক মোশাররফ চাচা (ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন) ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রিয় ফটিকছড়িবাসীর সকল নেতাকর্মী ও জনসারণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নির্বাচনে বিজয়ী হতে ফটিকছড়ির দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া চাই।

চট্টগ্রাম–৪ সীতাকুণ্ড আসনে প্রথমবারের মতো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আবুল কাসেম মাস্টারের ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুন। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী আমাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন–এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। এর আগে আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। এটাতে কাজ করার কিছুটা সীমাবদ্ধতা ছিল। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বৃহৎ পরিসরে কাজ করা যায়। এজন্য আমি মহান আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে মিশন এবং ভিশন এটাতে আমাকে সম্পৃক্ত করেছেন। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। নির্বাচিত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশে অংশ হিসেবে সীতাকুণ্ডকেও স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ করতে চাই।

চট্টগ্রাম–৫ হাটহাজারী আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এজন্য সর্বপ্রথম মহান আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। দলের দীর্ঘদিনের একজন পরীক্ষিত কর্মী প্রধানমন্ত্রী এর আগে আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি পুরো চট্টগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে জেলা পরিষদের উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। এবপার প্রধানমন্ত্রী আরো বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার জন্য সংসদ সদস্য পদে দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার চেষ্টা থাকবে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং এলাকার জনগণের আস্থা অর্জন করে আগামী নির্বাচনে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার।

চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছেন। এবার পটিয়া আসন থেকে নির্বাচনের জন্য দল থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন। এজন্য আমি সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। দল থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতীক নৌকা পেয়ে সত্যিই আনন্দিত। আমি বিজয়ী হলে বঙ্গবন্ধু ও আ’লীগের এ নৌকা আমানত রক্ষায় কাজ করবো। বিগত পাঁচ বছরে পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এ পাঁচ বছরে উপজেলায় ৫ টাকার অনিয়মও করিনি। আগামীতেও এর ব্যত্যয় হবে না।

খালেদ / পোস্টকার্ড;