মেয়র প্রার্থী ঘোষণা রাতে , হঠাৎ চট্টগ্রামে সতর্ক পুলিশ

মেয়র প্রার্থী ঘোষণা রাতে , হঠাৎ চট্টগ্রামে সতর্ক পুলিশ
মেয়র প্রার্থী ঘোষণা রাতে , হঠাৎ চট্টগ্রামে সতর্ক পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের জন্য ঢুকেছেন। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।

তবে মনোনয়নত্র প্রত্যাহারের সাক্ষর নিয়ে গণভবনের এ বৈঠকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বসতে হচ্ছে ।

উল্লেখ্য বর্তমান মেয়র আ জ ম নাসিরসহ মেয়র পদে ১৯জন  এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলে মোট ৪০৬ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সবার মাঝে আগ্রহের পাশাপাশি শঙ্কাও বিরাজ করছে। সেই শঙ্কা থেকে নগর পুলিশ নিয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

জানা গেছে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার পর আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রী ও সরকার প্রধানের বাসভবন গণভবন থেকে ঘোষণা হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আগামী নির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। মেয়র পদে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ১৯ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। সবাই যার যার মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নৌকায় উঠতে।

সতর্কতার বিষয়টি নগর পুলিশের এক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের সতর্ক থাকতে বার্তা দিয়েছেন। রিজার্ভ থেকে অতিরিক্ত ফোর্স থানায় পাঠানো হয়েছে।’

নগরীর জিইসি এলাকায় কর্তব্যরত একজন উপ-পরিদর্শক জানান, ‘অতীতে বিভিন্ন ইস্যুতে জিইসি মোড় ব্লক করার চেষ্টা হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তাই আজ বিকেল থেকে এই এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

মেয়র পদে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কিংবা মনোনয়ন ঠেকাতে বিভিন্ন নেতার অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সরব রাখার পাশাপাশি আক্রমণমূলক লেখালেখিও করছেন।

অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেই লেখালেখির রেশ দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর রাস্তায়ও প্রদর্শন করা হতে পারে। শক্তি প্রদর্শন ঠেকাতে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নগর পুলিশ প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়েছে। পাশপাশি দামপাড়াস্থ নগর পুলিশের হেডকোয়ার্টারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্সও।