১২ ঘণ্টায় হালদায় দুই দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ 

১২ ঘণ্টায় হালদায় দুই দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ 
১২ ঘণ্টায় হালদায় দুই দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ 

রাউজান সংবাদদাতা ।।

১২ ঘণ্টায় হালদায় দুই দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ । দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ  হালদায় নদীতে কার্পজাতীয় রুই, মৃগেল, কালিবাইশ ও কাতলা মা মাছ ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুই দফায় ডিম দিয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে ও ২৫ মে দিবাগত রাত ১২টার দিকে নদীর রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার একাধিক স্থান থেকে দুইপাড়ের বেশকিছু ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করেছে।

বুধবার রাতে পূর্ণিমার জোয়ার বা ঝড়, বৃষ্টি হলে পূর্ণাঙ্গরূপে মা ডিম ছাড়বে- সেই আশায় ৮শ জন ডিম সংগ্রহকারী, ৩’শ নৌকা এবং ডিম সংগ্রহের নানা সরঞ্জাম নিয়ে নদীর রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এছাড়া রয়েছেন ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির ১৮ জন শিক্ষার্থী। প্রস্তুত রয়েছে দুই উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশের ১২ জন সদস্য। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক প্রফেসর মঞ্জুরুল কিবরিয়া গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে নদীতে অবস্থানকালে বলেন, ‘আজ  দুপুর ১২টার দিকে নদীর হাটহাজারীর গড়দুয়ারা, রাউজানের নাপিতের ঘোনা, অংকুরীঘোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় নমুনা ডিম পেয়েছে মৎস্যজীবীরা। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে প্রথম দফায় মা মাছের নমুনা ডিম পাওয়া যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাতে নদীর মা মাছ পূর্ণাঙ্গভাবে ডিম দেয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য শত শত ডিম সংগ্রহকারী নদীতে অবস্থান করছেন। এদিকে কয়েকজন জেলে জানান, দুই দফা ডিম দিলেও এতো বেশি ডিম পাওয়া যায়নি। ডিম সংগ্রহকারীদের কেউ কেউ ৫০ থেকে দেড়শ গ্রাম পর্যন্ত ডিম পেয়েছে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১২টার পর হালদার আজিমের ঘাটা, নাপিতের ঘোনা, ইসগেট, মাছুয়াঘোনা, নোয়াহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। প্রায় ২-৪ কেজির মতো নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছেন প্রত্যেক ডিম সংগ্রহকারী। হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গত আড়াই বছরে ১শ ৬৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি।’ ডিম সংগ্রহকারী আলী আকবর বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির কারণে মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়ছে না। এখন শুধু অপেক্ষা করছি ভাটার। ভাটা হলে পানি কমবে। তখন সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার সরকারি চারটি হ্যাচারি থেকে কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ হাজার কেজি ডিম পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ডিম সংরক্ষণে অনেকে মাটির কুয়াও প্রস্তত করছেন’।