সীতাকুন্ডে পিএইচপি কর্মী করোনায় আক্রান্তে লকডাউন, আদেশ অমান্য করে  কাজ করলো ২ হাজার শ্রমিক

সীতাকুন্ডে পিএইচপি কর্মী করোনায় আক্রান্তে লকডাউন, আদেশ অমান্য করে  কাজ করলো ২ হাজার শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা এলাকার কুমিরায় অবস্থিত পিএইচপি ফ্যামিলির একজন কর্মীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় ফ্যাক্টরি লকডাউন করা হলেও তা না মেনে সকালেই খুলে দেওয়া হয়েছে কারখানা। প্রায় দুই হাজার শ্রমিক সেখানে কাজ করেছে বৃহস্পতিবারও (৭ মে)। এতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ পাওয়া ৩০০ শ্রমিক আর অন্যান্য শ্রমিক মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে— এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় সূত্রে। সব জেনেও প্রশাসন থেকে কোনরকম তদারকি নেওয়া হয়নি ।

বুধবার (৬ মে) রাতে কারখানাটি লকডাউন করে ৩০০ কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকেই পুরোদমে চালু করা হয়েছে সুফি মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন পিএইচপি ফ্যামিলির সেই কারখানা।

কারখানা চালুর বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা করোনা বিস্তার রোধ ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, ‘পিএইচপির একজন কর্মীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় বুধবার (৬ মে) রাতে আমরা নিয়ম অনুযায়ী কারখানা লকডাউন করেছিলাম। পাশাপাশি ৩০০ কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলাম। সরকার যেহেতু শিল্পকারখানার বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করছে আমরা কারখানা খুলতে চাইলে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সাথে বাইরে থেকে আসা কর্মীদের যেন সংমিশ্রণ না হয় সেই শর্ত দিয়েছি। পিএইচপি আমাদের শর্ত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা কারখানা খোলার অনুমতি দিয়েছি।’

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে কারখানায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা কর্মীরা শ্রমিকদের থেকে আলাদা থেকে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার বিষয়টি প্রশাসন তদারকি করেছিল কিনা জানতে চাইলে ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, ‘আগামী কাল সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথবাহিনীর টহল টিম যাবেন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে। তারা বিষয়টি দেখবেন।’

এবিষয়ে জানতে পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিনের মুঠোফোনে ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে দুইজনই সীতাকুণ্ডের। একজন পিএইচপি কারখানার কর্মী। অপরজন ছলিমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকওয়ালার বাড়ীর বাসিন্দা।