সীতাকুন্ডে বেড়ে চলছে অনুমোদনহীন আবাসিক হোটেল ব্যবসা, পর্যটকের আড়াঁলে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড

সীতাকুন্ডে বেড়ে চলছে অনুমোদনহীন আবাসিক হোটেল ব্যবসা, পর্যটকের আড়াঁলে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সীতাকুন্ডে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অনুমোদনহীন আবাসিক হোটেল ব্যবসা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় প্রতিটি এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে অনৈতিক কর্মকান্ড।

পর্যটকের নামে অনুমোদনহীন আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড চলতে থাকায় চরম আকার ধারন করেছে সামাজিক অবক্ষয়। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের চরিত্রহানীর আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

ঘোষিত-অঘোষিত পর্যটনকে ঘিরে পৌরসদর, ভাটিয়ারী ও মাদামবিবিরহাট এলাকায় গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠান।সম্পূর্ন নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে বিভিন্ন ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠান।

আইনের তোয়াক্কা না করে অনুমোদিত লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, স্যানেটারী লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্সসহ অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় নিয়মনীতির বালায় নেই। এ পরিস্থিতিতে আবাসিক হোটেলে যাচ্ছে তা চলতে থাকায় পর্যটকের আড়াঁলে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

পৌরসদরের ব্যবসায়ী ও সর্বসাধারন বলেন,‘ পৌরসদরের আবাসিক হোটেলগুলোতে দিন-রাত অবস্থান করছে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীসহ দেহ ব্যবসায়ীরা। হোটেলগুলোতে নানা বয়সী নারী-পুরুষের অবাধ বিচরনে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের চারিত্রিকভাবে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠায় গত কয়েকবছর পূর্বে সৌদীয়াআবাসিক হোটেলে অতিরিক্ত মাদক সেবনে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনার পর সম্প্রতিক সময়ে জলসা হোটেলে এক নারীকে রাতভর ধর্ষন করে ছয় যুবক। এ সময় হোটেল মালিকসহ ধর্ষকদের আটক করে ধর্ষন মামলায় জেলহাজতে প্রেরন করা হয়।

অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে অবৈধভাবে আবাসিক হোটেল পরিচলানার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অনৈতিক কর্মকান্ড চললেও দেখার কেউ নেই বলে জানান তারা।

নীতিমালা না মেনে আবাসিক হোটেল পরিচালিত হলেও নেই আইনানুগ ব্যবস্থা। ফলে সকল প্রকার আইনকে তোয়াক্কা না করে স্থানীয় ট্রেড লাইসেন্সের নির্ভরে ব্যবসা চালাচ্ছে হোটেল মালিকরা।

আর ট্রেড লাইসেন্স নির্ভরতায় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হওয়ায় প্রয়োজন মনে করছেনা সরকারী অনুমোদনের। এরপরও সকল আইনকে মেনে ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে জানান সৌদীয়া হোটেল কর্তৃপক্ষ।এভাবে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে আবাসিক হোটেল ব্যবসা।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল হক বলেন, ‘অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান পরিচলানার সুযোগ নেই। যেসব অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান চলছে তা চিহ্নিত করে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।