বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে একমাস পর পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার, প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি

বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে একমাস পর পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার, প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি
বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে একমাস পর পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার, প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি

ডেস্ক নিউজ ।।

অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার দীর্ঘ এক মাস পর সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর বিধ্বস্ত শেডের ভেতর থেকে আরেকটি মরদেহের পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে দুই দফা সময় বাড়ানোর পর সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উদ্যোগে গঠিত তদন্ত কমিটি ।

পোড়া হাড়গোড় উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিকেলে বিধ্বস্ত শেডের ভেতরে থাকা ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিলেন ডিপোর কর্মীরা। এ সময় তারা ডিপোর লম্বা শেডের মাঝখানের ভেঙে পড়া একটি পিলার সরাতে গিয়ে তার পাশে কিছু পোড়া হাড়গোড় দেখতে পান। ডিপো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদের অবহিত করলে আমরা ডিপোতে পৌঁছে পোড়া হাড়গোড়গুলো উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।

এদিকে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো বিস্ফোরণ ঘটনায় এখনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি । দুই দফা সময় বাড়ানোর পর সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উদ্যোগে গঠিত তদন্ত কমিটি । তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো হাতে না পাওয়ার কারণে প্রতিবেদন জমা দিতে দেরী হচ্ছে বলে জানান তারা ।

সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে গত ৪ জুন বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের প্রায় ৪ দিন পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন দুই শতাধিক। ঘটনার একদিন পর একটি মামলা এবং বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

এরমধ্যে বিস্ফোরণের পরদিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উদ্যোগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে সদস্যসচিব করে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি, সিআইডির প্রতিনিধি এবং নগর পুলিশের (সিএমপি) পোস্ট ব্লাস্ট ইনভেস্টিগেশন টিম থেকে প্রতিনিধি যুক্ত করে কমিটির সদস্য ১২ জনে উন্নীত করা হয়। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার ৩০ দিন পরেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি।

এ প্রসঙ্গে কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিবেদন তৈরি প্রায় শেষ। শুধু সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনের জন্য আটকে আছি। ওটা পেলে আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন দিতে পারব।

তিনি বলেন, সিআইডির ল্যাবে মূলত দুই ধরনের রাসায়নিকের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডিপো এলাকা থেকে সংগ্রহ করা কেমিক্যাল পদার্থগুলো রয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত ডিপোতে কী কী কেমিক্যাল ছিল সেটি বের করা হবে। অন্যদিকে বিস্ফোরণের পেছনে যে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডকে অনেকে দায়ী করছেন, সেই রাসায়নিক আসলে কত শতাংশ ছিল, সেটিও যাচাই করা হচ্ছে। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার দেরীর কারণে প্রতিবেদন জমা দিতে সময় লাগছে ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;