শেখ হাসিনার জি-২০ কূটনীতি, 'গ্লোবাল সাউথের বলিষ্ঠ কণ্ঠ’ হিসেবে তুলে ধরলো বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার জি-২০ কূটনীতি, 'গ্লোবাল সাউথের বলিষ্ঠ কণ্ঠ’ হিসেবে তুলে ধরলো বাংলাদেশ
শেখ হাসিনার জি-২০ কূটনীতি, 'গ্লোবাল সাউথের বলিষ্ঠ কণ্ঠ’ হিসেবে তুলে ধরলো বাংলাদেশ

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিয়ে একে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন । দিল্লিতে এ সম্মেলনে ‘গ্লোবাল সাউথের বলিষ্ঠ কণ্ঠ’ হিসেবে বাংলাদেশ তার অবস্থান তুলে ধরেছে। বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে বিশ্বের সংহতি শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগেরও আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্বের ২০ সদস্যের প্রধান অর্থনৈতিক গ্রুপের নেতাদের অংশগ্রহণে ‘জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে’ ভারতের বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে মনোনীত হওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্মানের বিষয়। এ জোটে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের সম্পর্ক রয়েছে। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর আওতায় আছে বিশ্ব অর্থনীতির ৮৫ শতাংশ এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণও রয়েছে এসব দেশে। তাই এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়া ও যোগ দান নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশ্বের প্রভাবশালী এই জোটের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সুযোগটি অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ।

এই সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি ভারতের যে আস্থা রয়েছে সেটি প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে দ্বিপক্ষীয় অনেক বিষয় যেমন- বাণিজ্য, ট্রানজিট, বর্ডার, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তিনটি সমঝোতা স্মারক হলো- ‘কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়’ এবং ‘দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের সহজীকরণ’।

জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা হয়েছে তার। এ ছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া, নাইজেরিয়া ও ব্রাজিলের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গেও বৈঠক করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উয়ং ও ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া জি-২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এ উপমহাদেশ সফরের পাশাপাশি বাংলাদেশে সফর করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশে এসেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তিন দশকের বেশি সময় পর কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশে সফর এটি।

সফরে বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপের মধ্যেও বাংলাদেশ তার স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে প্রতিহত ও ভারতকে একঘরে করতে চায়। এটি তাদের উদ্দেশ্য।

গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠ

বাংলাদেশ সম্প্রতি বছরগুলোতে ‘গ্লোবাল সাউথের বলিষ্ঠ কণ্ঠ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে । বিভিন্ন বৈশ্বিক জটিলতার কারণে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে ভঙ্গুর দেশগুলো। এ সমস্যা সমাধানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিগুলোর প্রতি শেখ হাসিনা আহ্বান এজেন্ডা-২০৩০ বাস্তবায়ন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মসৃণ ও টেকসই উত্তোরণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ এবং নারীর সমান অধিকার।

‘এক পৃথিবী’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।

বাইডেনের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়

বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার একটি অন্যতম দিক হচ্ছে বিভিন্ন দেশের নেতারা যখন মিলিত হন, তখন মূল সম্মেলনের বাইরেও একে অন্যের সঙ্গে প্রয়োজনীয় অনেক আলোচনার সুযোগ পান। অংশ নেন মধ্যহ্ন বা নৈশভোজেও। একইভাবে জি-২০ মূল সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্ককে ঝালিয়ে নিয়েছেন।

বাইডেনের সেলফিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দিল্লিতে সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি বেশ আলোচিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অত্যন্ত উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ চ্যাট ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে গভীর সুসম্পর্ককে চিহ্নিত করেছে৷

মোমেন বলেন, ‘এটি (অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নৈশভোজসহ দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে বাইডেন, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং সায়মা ওয়াজেদের মধ্যে আলোচনা) প্রমাণ যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আমাদের গভীর ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে এটি আরও শক্তিশালী করব।’

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুসংহত করতে খুবই আগ্রহী এবং এ জন্য তারা তাদের লোক পাঠাচ্ছে এবং আলোচনা করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের রাজধানীর প্রগতি ময়দানে ভারত মান্দাপাম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে জো বাইডেন, শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ১৫ মিনিট কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তিনি খুব খুশি এবং সম্পূর্ণ উৎসাহী ছিলেন এবং আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং উষ্ণ পরিবেশে হয়েছিল।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং তার মেয়ে যখন বাইডেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন সেই মুহূর্তের ছবি তোলার জন্য তার সেল ফোনটি বের করেন।

মোমেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার সেল ফোনে একটি সেলফিও তুলেছিলেন।’ কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে যে ছবি গণমাধ্যমে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাতকে দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছেন, যা উষ্ণ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ। কূটনীতিতে করমর্দনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উষ্ণ বা শীতল শরীরী ভাষার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হয়। আলতোভাবে বা দৃঢ় করমর্দন দিয়েও একজন নেতা আরেকজনের প্রতি তার মনোভাব প্রকাশ করতে পারেন।

একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও জো বাইডেন আলোচনার সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন তারা। সাধারণভাবে দুই নেতা যখন কথা বলেন, তখন তৃতীয় নেতা উপস্থিত থাকলে ধরে নেয়া হয় প্রথম দুই নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তিনি।

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে বাংলাদেশ সফর করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সালমান।

সোমবার নয়াদিল্লিতে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। দুই নেতা একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সকালে নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। যুবরাজ সালমান সম্প্রতি বছরগুলোতে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।

যুবরাজ সালমান পতেঙ্গা টার্মিনাল, পায়রা বন্দর এবং এসিইউডব্লিউএ পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে সৌদি বিনিয়োগকারীদের চলমান বিনিয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি তাদের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সৌদির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

সালমান ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে সৌদিকে সমর্থন করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। যুবরাজ সালমান বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তার পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে বিভিন্ন সংস্কার কর্মকাণ্ডের জন্য যুবরাজকে অভিনন্দন জানান। তিনি যুবরাজকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সেটি গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আর্জেন্টাইনদের মন জয় করেছে বাংলাদেশিরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ জানান, আর্জেন্টিনার ফুটবলকে সমর্থন জানানোর কারণে তার দেশের মানুষের মন জয় করেছে বাংলাদেশিরা।

এ সময় বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার জন্য আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে খেলাধুলা, বাণিজ্য, কৃষিসহ অন্যান্য বিষয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।

হাসিনা-নাহিয়ান বৈঠক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে শেখ হাসিনার। এর ধারাবাহিকতায় প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাইডলাইনে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার নিশ্চয়তা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। একই সঙ্গে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট।

হাসিনা-ইয়ুল বৈঠক

বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ওই দেশের প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ুলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে শেখ হাসিনার। দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়েছেন উভয় নেতা। - দৈনিক বাংলা । 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;