যেসব পণ্যের দাম বাড়বে এবং কমবে

যেসব পণ্যের দাম বাড়বে এবং কমবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ।।

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপের প্রস্তাবনায় অনেক পণ্যের দাম বাড়বে। 

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে

আমদানি করা বিলাসপণ্য যেমন- বডি স্প্রে ও প্রসাধনী পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ হতে পারে। ফলে এসব পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে।

অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এবার তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়বে। এসব পণ্যে স্ল্যাব অনুসারে শুল্ক আরোপ হচ্ছে।

দেশীয় পণ্য সুরক্ষায় শুল্ক আরোপের কারণে আমদানি করা স্মার্ট ফোনের দাম আরেক দফা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় কোম্পানিগুলো।

দেশীয় কৃষিপণ্য সুরক্ষায় আমদানি করা মাশরুমের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে দাম বাড়বে। কারণ দেশেই এখন এসব পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে।

বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমবে

পোল্ট্রিফিড- রেয়াত সুবিধার প্রস্তাবের কারণে পোল্ট্রিফিডের দাম কমবে।

ক্যানসার ওষুধ- রেয়াত সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধের দাম কমবে।

দেশীয় টাইলস- কাঁচামালের সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়ার কারণে দেশীয় টাইলসের দাম কমবে।

মূলধনী যন্ত্রপাতি- মূলধনী যন্ত্রপাতিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে যন্ত্রপাতির দাম কমবে।

দেশীয় মোটরসাইকেল ও ওয়াশিং মেশিন- মোটরসাইকেলের যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াত সুবিধায় কমবে দেশীয় মোটরসাইকেলের দাম।

কম্পিউটার- কম্পিউটার যন্ত্রাংশের আমদানিতে শুল্ক কমানোর কারণে দাম কমবে।

টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি- রেয়াত সুবিধায় টেক্সটাইল পণ্যের দাম কমবে। 

এ ছাড়া এলপিজি সিলিন্ডার, কম্প্রেসর ও খেলনায় রেয়াত সুবিধা দেওয়ায় দাম কমবে।

এর বাইরে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্পের (এসি-ফ্রিজ) ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা অব্যাহত থাকছে। ফলে দেশে উৎপাদিত এসব পণ্য কম দামে মিলতে পারে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি মোট জিডিপির ১৭.৪৭ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭.২ শতাংশ।