পিছিয়ে পড়া প্রাথমিকের শিশুদের আলাদা পাঠদানের সুপারিশ

পিছিয়ে পড়া প্রাথমিকের শিশুদের আলাদা পাঠদানের সুপারিশ
পিছিয়ে পড়া প্রাথমিকের শিশুদের আলাদা পাঠদানের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বিভিন্ন ক্লাসে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের আলাদা করে পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
একই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী ও রাজাকারদের নামে কোনো স্কুল থাকলে সেগুলোর তালিকা করতে বলা হয়েছে। রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, নজরুল ইসলাম বাবু, শিরীন আখতার, জোয়াহেরুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন অংশ নেন।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম একটি করে বাংলা ও ইংরেজি শব্দ সঠিক উচ্চারণে পড়ালেখা শেখাতে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে অংশ নেওয়া খুদে পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কারের নিয়মটি সম্প্রতি তুলে দিয়েছে সরকার। ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে প্রায় দুইশ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে যে নির্দেশাবলীর আলোকে বহিষ্কার করা হতো তার সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ রদ করা হয়। এ কর্মসূচি ফলপ্রসূ করার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা ছক তৈরি করে রেকর্ড করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি তদারকি করছেন। রাজাকারদের নামে স্কুলের নাম থাকলে তার তালিকার বিষয়ে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ তালিকা করতে তারা মাঠ পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর প্রতিবেদন আকারে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হবে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সঠিকভাবে লেখাপড়া করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যদের তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
এ ছাড়া বাধ্যতামূলক শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, পিটিআই নিয়ে আলোচনা হয় এবং এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের আলোকে শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দিচ্ছে কিনা তা তদারক করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। প্রকল্প গ্রহণের আগে প্রকল্পের অর্থ যাতে যথাযথভাবে ব্যয় হয় তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে সক্ষম এমন প্রকল্প প্রণয়নের সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।