যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন আজ

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন আজ
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

আজ এক কঠিন পরীক্ষায় পরতে যাচ্ছেন দুই বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বর্তমান সরকার সম্পর্কে আজ নিজেদের মনোভাব জানাবেন দেশটির জনগণ। এ মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলের ওপর নির্ভর করবে বাইডেনের বাকি মেয়াদ কেমন যাবে। প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পেলে বিভিন্ন ইস্যুতে বাইডেনের বিল পাস করা কঠিন হয়ে পড়বে।

সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেস গঠিত।  কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৫৩৫ জন। এর মধ্যে সিনেটের সদস্য ১০০ জন, বাকিরা প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য দুজন করে সিনেট সদস্য নির্বাচিত করে, যারা সিনেটর হিসাবে পরিচিত এবং ছয় বছরের জন্য তারা নির্বাচিত হন। প্রতি দুই বছর পরপর সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৫টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ৪৩৫। প্রত্যেক সদস্য অঙ্গরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা দুই বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। দুই বছর ধরে হাউজ ও সিনেট উভয়কক্ষেই ডেমোক্র্যাটিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছেন। তবে তা খুব বেশি ব্যবধানে নয়। আইন পাস করা বাইডেনের পক্ষে সহজ হলেও বরাবরই তাদের ঘারে নিশ্বাস ফেলেছে রিপাবলিকাননা।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন রিপাবলিকানরা। অন্যদিকে সিনেট ধরে রাখতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। চার বছর মেয়াদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা যাচাইয়েরও অন্যতম মাধ্যম এটি।

রয়টার্স-ইপসোস পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে-৪০ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের পারফরম্যান্সে খুশি। জুনের শুরুর দিকে থেকে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দুদিনের জরিপে দেখা গেছে, এতে অংশ নেওয়া ৭৮ শতাংশ সমর্থক বাইডেনের ওপর খুশি। গত মাসে এ সংখ্যা ছিল ৬৯ শতাংশ। গত বছর আগস্ট থেকে বাইডেনের জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে ছিল। তখন থেকে তা ৫০ শতাংশের নিচে চলে যায়। সবচেয়ে বেশি নেমেছিল এ বছর মে মাসে-৩৬ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং কোভিড-১৯ মূলত এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। অপরদিকে, গ্যালাপের জরিপে দেখা গেছে-মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। রিপাবলিকান প্রার্থীরা বিজয়ী হলে প্রভাব ফেলতে পারে পরবর্তী নির্বাচনে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;