ভুয়া কাগজ দেখিয়ে একই দিনে ১২ দলিল সৃষ্টি , হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে

ভুয়া কাগজ দেখিয়ে একই দিনে ১২ দলিল সৃষ্টি , হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে
ভুয়া কাগজ দেখিয়ে একই দিনে ১২ দলিল সৃষ্টি , হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে দুদকের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদকের আইনজীবী লুৎফুর কিবরিয়া শামীম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসময় তিনি বলেন, কোম্পানির জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে একই দিনে ১২টি দলিল সৃষ্টি করা হয়। তাতে সরকার ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর থেকে পারভীন আক্তার পলাতক ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে সিলেট সদর অফিসে কর্মরত ছিলেন সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তার। তখন একটি কোম্পানির নামে থাকা ১৫ একর বাড়ি শ্রেণির ভূমিকে ব্যক্তি মালিকানা ও টিলা শ্রেণি দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রে ১২টি দলিল রেজিস্ট্রেশন করে দেন তিনি।

বিষয়টি জানতে পেরে কোম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজারুল আলম চৌধুরী ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ২২ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় দলিলদাতাকে প্রধান ও সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে ২ নম্বর আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ২১ জন বিবাদীর যোগসাজশে পারভিন আক্তার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারের ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।

মামলার পর আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের ভার দেন। গত ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন।

অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় তিনজন আসামি আদালত থেকে জামিন নিলেও পারভিনসহ বাকি ১৮ জন আসামি পলাতক ছিলেন।

রবিবার হাটহাজারীর অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সিলেট রওনা হন তিনি এবং সোমবার ১৬ অক্টোবর সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দিয়ে পারভিনকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;