পাকিস্তানের সীমান্তে কমান্ডো মোতায়েন , উদ্বিগ্ন ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

পাকিস্তানের সীমান্তে কমান্ডো মোতায়েন , উদ্বিগ্ন ভারত
পাকিস্তানের সীমান্তে কমান্ডো মোতায়েন , উদ্বিগ্ন ভারত

পাকিস্তানের সীমান্তে কমান্ডো মোতায়েন , উদ্বিগ্ন ভারত কাশ্মীর নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্পেশাল কমান্ডো মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি)-এর কমান্ডো মোতায়েনের খবর পেয়েছে ভারতীয় সেনারা।এরপরই সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানায়, সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি)-এর ১০০ সেনা কমান্ডো মোতায়েনের পর ভারতীয় বাহিনীও বিশেষ অবস্থানে রয়েছে। পাকিস্তানের হঠাৎ কমান্ড মোতায়েনে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়িয়েছে সেনাবাহিনী।

নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কমান্ডোদের উপস্থিতি নজরে আসতেই তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনারা।

এদিকে সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার ইন্ডিয়া ট্যুডের খবরে বলা হয়েছে, লাদাখের নিকটবর্তী সীমান্তের কাছে চীন-পাকিস্তান আকাশে যুদ্ধের জন্য অবস্থান নিয়েছে এবং ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) এটি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের জে-১০ এবং পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান আকাশে মহড়া শাহীনের অংশ নিয়েছে যেটি লেহ শহর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে হোতান শহর নামক স্থানে।

গিলগিটের বালিতিস্তান অঞ্চল থেকে পাকিস্তান যে জেএফ-১৭ বিমানগুলো স্কার্দু বিমানবন্দর অনুশীলনের জন্য নিয়ে গেছে সেগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে বিমানবাহিনী।

পাকিস্তান দীর্ঘদিন পরে এই বিমানবন্দরটি চীনা বিমানবাহিনীতে যোগ দিতে ব্যবহার করছে যা ভারতের সঙ্গে উত্তর অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ঘাঁটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন লাদাখের চুমার ও ডেমচকের আশপাশে ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ ও সীমালঙ্ঘন করে আসছে, তারা তিব্বত অঞ্চলটিকে তাদের বলে দাবি করে আসছে।

ভারত চলতি মাসের ৫ আগস্ট দেশটির সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়। ওই অঞ্চলটিকে দুটি রাজ্যে বিভক্ত করেছে। এরপর থেকে কার্যত জম্মু-কাশ্মীর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে উপত্যকাটিতে ৫০ হাজারের বেশি সেনা ও কর্মকর্তা মোতায়েন করে ভারত। হিমালয় ঘেরা অঞ্চলটিতে কারফিউ জারি করে। আটক করা হয় মুসলিম নেতাদের।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে নিয়মিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক হাজার স্বাধীনতাকামীকে।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মীর অঞ্চলে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও মোবাইল পরিসেবা বন্ধ করে দেয়। ওই অঞ্চলটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন করে দেয়া হয়।