পদ হারালেন থাই রাজার ‘সঙ্গী’ সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদিকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

পদ হারালেন থাই রাজার ‘সঙ্গী’  সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদিকে
থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন ও তার ‘সঙ্গী’ সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদিকে

থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন নিজের রাজকীয় ‘সঙ্গী’ সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদিকেকে তার পদ ও উপাধি থেকে বাদ দিয়ে অবাক করে দিয়েছেন। গত জুলাই মাসে নতুন রানীর পাশাপাশি সিনিনাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার সঙ্গী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, ‘নিজেকে রানীর সমকক্ষ’ হিসেবে তুলনা করায় সিনিনাতকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

রাজার আকষ্মিক এই সিদ্ধানদে অবাক হয়েছে পর্যবেক্ষকরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিছু কিছু পর্যবেক্ষকের মতে, সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদিকের এই পতন একদিকে যেমন থাইল্যান্ডের রাজ শাসন সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়, ঠিক তেমনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়েও বর্ণনা করে।

নতুন সম্রাট, রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন ২০১৬ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর ক্ষমতায় বসেন। দেশটির রাজকীয় আইন অনুসারে রাজ শাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা নিষেধ এবং এর জন্য কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

গত জুলাই মাসে যখন সিনিনাতকে উপাধি দেওয়া হয়, তখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি রাজার সঙ্গী হিসেবে গণ্য হন। তবে এই উপাধি অনুযায়ী তিনি অবশ্যই রানী নন। ওই সময়ে রাজা তার চতুর্থ স্ত্রীকে বিয়ে করেন যিনি হলেন রানী সুথিদা।

১৯৮৫ সালে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে জন্ম নেওয়া সিনিনাত শুরুতে নার্স হিসেবে কাজ করেন। তৎকালীন ক্রাউন প্রিন্স ভাজিরালংকর্নের সঙ্গে সম্পর্কের পর তিনি রয়্যাল সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি একাধারে একজন দেহরক্ষী, পাইলট, প্যারাসুটিস্ট এবং রয়্যাল গার্ডের সদস্য। চলতি বছরের শুরুর দিকে তাকে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। গত জুলাই মাসে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার সঙ্গীর মর্যাদা দেওয়া হলে তার সম্মাননা আরও বাড়ে।

সিনিনাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ- ‘রাজ শাসনের প্রতি আনুগত্যহীনতা এবং অশোভন আচরণের’। এ কারণে তার পদ এবং উপাধি বাতিল করা হয়েছে বলে রাজ দরবারের প্রকাশিত এক ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, সিনিনাত অনেক বেশি ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ এবং নিজেকে ‘রানীর সমতুল্য বলে তুলনা করেছে’। এ ছাড়া নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজার পক্ষ থেকে হুকুম দিতে শুরু করেছে। রাজা জানতে পেরেছেন, তাকে যে উপাধি দেওয়া হয়েছিল তিনি তার জন্য কৃতজ্ঞ ছিল না এবং তার মর্যাদা অনুযায়ীও যথোচিত ব্যবহার করেনি।