দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ সীতাকুণ্ডে রোহিঙ্গা মা- ছেলে আটক

দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ সীতাকুণ্ডে রোহিঙ্গা মা- ছেলে আটক
দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ সীতাকুণ্ডে রোহিঙ্গা মা- ছেলে আটক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।।

সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় ৮টি স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালঙ্কারসহ দুই রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব -৭। গ্রেপ্তারকৃতরা সম্পর্কে মা-ছেলে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- আসমত উল্লাহ (২৪) ও তার মা মোছাম্মৎ ছহুরা খাতুন (৬৮)।

আজ শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর ৩টায় সিপিসি-৩ চান্দগাঁও ক্যাম্পে র‍্যাব -৭ এর অধিনায়ক কর্নেল এম এ ইউসুফ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ইয়াবা বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণের বার ও বিস্কুট ক্যাম্পে পাচার করছে। পরে তা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে স্বর্ণের বার চোরাচালান চক্রের ওপর নজরদারি শুরু করি। এক পর্যায়ে খবর পেলাম সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুরে একটি ভাড়া ঘরে স্বর্ণের বার মজুদ করেছে চোরাকারবারিরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় ওই বসতঘরে অভিযান চালিয়ে দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়। এরা সম্পর্কে মা-ছেলে। এসময় ওই ঘর থেকে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনা ৮টি স্বর্ণের বার, ৫টি স্বর্ণের চেইন, ১ জোড়া স্বর্ণের বালা, ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ৩টি স্বর্ণের আংটি, ৪টি স্বর্ণের লকেট উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার স্বর্ণের গোল্ডবারের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা এবং স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মুল্য ৫০ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক ২০১২ সালে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। গ্রেপ্তার আসামি আসমত উল্লাহ ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত কক্সবাজারের ঈদগাহে অবস্থান করে। ২০১৪ সালে এজেন্সির মাধ্যমে তার এলাকার চাচা আব্দুস সালাম তাকে পাসপোর্ট করে ভিসা দিয়ে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। সৌদি আরবে সে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের আগষ্ট মাস পর্যন্ত অবস্থান করে। ২০২০ সালে সে অবৈধভাবে অবস্থান করায় পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয় এবং তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। বাংলাদেশে আসার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সে বিয়ে করে ঈদগাহ থেকে স্ত্রী ও মা-সহ জঙ্গল সলিমপুর চলে আসে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় আসামিরা। গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;