সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর মালিকপক্ষ প্রকাশ্যে এলেও অনেক প্রশ্নের জবাব দেননি, মর্গে ১৪ মরদেহ

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর মালিকপক্ষ প্রকাশ্যে এলেও অনেক প্রশ্নের জবাব দেননি, মর্গে ১৪ মরদেহ
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর মালিকপক্ষ প্রকাশ্যে এলেও অনেক প্রশ্নের জবাব দেননি, মর্গে ১৪ মরদেহ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।।

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো মর্গে পড়ে আছে ১৪টি মরদেহ। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে স্বজনেরা ডিএনএর নমুনা দিলেও এখনো তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে স্বজনেরা এলেও বিস্ফোরণে মরদেহগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ায় মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের এক মাসের মাথায় গত ৭ জুলাই পরিচয় শনাক্ত হওয়া আটটি মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় মর্গে পড়ে থাকা ১৪টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বিস্ফোরণ পরবর্তীতে পরিচয় শনাক্তে চমেক হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা ২২টির মধ্যে আটটি মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো ডিএনএ প্রতিবেদন না আসায় মর্গে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণে রাখা আরও ১৪টি মরদেহ রয়েছে। মরদেহের পরিচয় শনাক্তে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি ঢাকার ফরেনসিক টিম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিস্ফোরণে মরদেহগুলো একেবারে পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় পরিচয় শনাক্তে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে মর্গে থাকা আরও আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি। ডিএনএ নমুনার প্রতিবেদন হাতে এলে পর্যায়ক্রমে মর্গে থাকা মরদেহগুলো শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অন্যদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে মালিকপক্ষ। ঘটনার দেড় মাস পর তাঁরা প্রকাশ্যে এলেও অনেক প্রশ্নের জবাব দেননি ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;