জমে উঠেছে চসিক নির্বাচনে ক্লাইমেক্স , মেয়র পদে আ.লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন ১৯, কাউন্সিলর ৪০৯

জমে উঠেছে চসিক নির্বাচনে ক্লাইমেক্স , মেয়র পদে আ.লীগের মনোনয়ন  চেয়েছেন ১৯, কাউন্সিলর ৪০৯

জসীম চৌধুরী সবুজ ।।

আগামীকাল রোববার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তার আগেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ সেরে নিচ্ছে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে শেষ করেছে শুক্রবার। শুক্রবার ফরম জমা দেওয়ারও শেষ দিন ছিল। শেষদিনে মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন ১৯ জন। ৪১টি ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত মহলা কাউন্সিলর পদে সব মিলিয়ে ফরম জমা দিয়েছেন ৪০৯ জন। ফরম বিক্রি খাতে দলের আয় হয়েছে ৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

শেষ মুহূর্তে এসে মেয়র পদে প্রার্থী নিয়ে ক্লাইমেক্স উঠে গেছে তুঙ্গে। কেউ জানে না কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে। সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে আলোচনার টেবিলে নতুন করে ঝড় তুলেছেন। তেমনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের দীর্ঘদিনের সংগঠক লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নামও তালিকায় দেখে আলোচনায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ফরম জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। তাকে নিয়ে লবিং-তদবিরে আছেন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। এ তালিকায় আরও যুক্ত হয়েছেন সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রয়াত সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান, বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার সদস্য জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে বিজিএমইএ নেতা হেলাল উদ্দীন চৌধুরী তুফান।

আগে যারা ফরম নিয়েছিলেন এবং কাল জমাও দিয়েছেন তাদের মধ্যে বর্তমান মেয়র আজম নাছির উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, তার ছেলে মুজিবুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম রয়েছেন। এ ছাড়া মেয়র পদে আরও যারা মনোনয়ন চেয়েছেন তারা হলেন নগর আ.লীগ সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, একেএম বেলায়েত হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউনুস, ইনসান আলী, দীপক কুমার পালিত ও এরশাদুল আলম।

মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েছেন যারা তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছেন যারা সাধারণ মানুষের কাছে তেমন পরিচিত নন। দীর্ঘ তালিকায় এমন ব্যক্তিও রয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জিতে আসার মতো অবস্থাও যার নেই। তারপরও পুরো চট্টগ্রাম এখন তাকিয়ে আছে ঢাকার দিকে। দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী সিদ্ধান্ত দেন সেদিকে। ঢাকার মতো চমক দেখার অপেক্ষায় এখন চট্টগ্রামবাসী।