চট্টগ্রামে ৮ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলা উদ্বোধন

চট্টগ্রামে ৮ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলা উদ্বোধন
চট্টগ্রামে ৮ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলা উদ্বোধন

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের আয়োজন হালিশহরের আবাহনী মাঠে ৮ম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি (বিআইটিইএফ–২০২৩) মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই) আয়োজিত এই মেলা উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। তিনি সিএমসিসিআইয়ের সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমসিসিআইয়ের সভাপতি খলিলুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন মেলার আহ্বায়ক এম আবদুস সালাম, সহসভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী, সহসভাপতি (ফরেন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট) ডব্লিউ আর আই মাহমুদ রাসেল, পরিচালক প্রফেসর জাহাঙ্গীর চৌধুরী, এম সোলায়মান, অজিত কুমার দাশ ও বিএসআরএম গ্রুপের উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত। প্রধান অতিথি কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ব্যবসা–বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে দেশ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কেউ যেন এ স্থিতিশীল পরিস্থিতি নষ্ট করতে না পারে তার জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। মেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

মেলার আহ্বায়ক এম আবদুস সালাম মেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে খলিলুর রহমান মেলায় আগত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং মেলা চলাকালীন সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, বক্তব্যের জন্য আমি একুশে পদক পাইনি। সংবাদপত্রের সাথে থাকার কারণে আমাকে এটি দেওয়া হয়েছে। বাবা আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন আজাদী ও কোহিনূর প্রেস। শিশু কাগজটিকে দাঁড় করানো ছিল মূল চ্যালেঞ্জ। বাবা আমার আইডল।

তিনি বলেন, একুশ আমার অহংকার। একুশের প্রথম কবিতা কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীর ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ ঝুঁকি নিয়ে ছাপিয়েছিলেন আমার বাবা। দেশে আজাদীই একমাত্র পত্রিকা, যার দুজন সম্পাদক দেশের সর্বোচ্চ দুটি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, কোনো কিছু না পেয়ে কখনো দুঃখ হয়নি। আমার স্ত্রী–সন্তানদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আজাদীর প্রথম হেডলাইন ছিল ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করেছেন। তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা।

এম এ মালেক বলেন, সাধারণের কাগজ আজাদীকে চট্টগ্রামের মুখপত্র করতে পেরেছি–এটাই সার্থকতা। সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি লাল–সবুজ পতাকা দিয়ে গেছেন। আমার মৃত্যুর পর লাল–সবুজের পতাকাটি আমার কফিনের ওপর শোভা পাবে–এক জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে?

সহসভাপতি ডব্লিউ আর আই মাহমুদ রাসেল জানান, কিছু বিদেশি স্টল অংশগ্রহণ করবে এবারের মেলায়।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;