কলঙ্কিত করা যাবে না পুলিশের পোশাককে : চট্টগ্রামের ডিআইজি

কলঙ্কিত করা যাবে না পুলিশের পোশাককে : চট্টগ্রামের ডিআইজি

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক।।

কলঙ্কিত করা যাবে না পুলিশের পোশাককে, জনগণকে হয়রানি ও অপরাধে জড়ালে পুলিশ সদস্যদের ছাড় নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরস্থ জেলা পুলিশ লাইনে পিটিসি-নোয়াখালী সংযুক্ত ট্রেনিং সেন্টার আর.আর.এফ চট্টগ্রাম প্যারেড মাঠে অনুষ্ঠিত “৪৬ তম ব্যাচে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলদের (টিআরসি) সমাপনী কুচকাওয়াজ” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ বাহিনীর কল্যাণে বর্তমান সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে।

পুলিশ সদস্যদের প্রতি ডিআইজি বলেন, জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সততা ও নিষ্টার সাথে কাজ করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর পোশাককে কলঙ্কিত করা যাবে না। কোন ধরণের মাদক, দূর্নীতি বা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না। জনগণের সেবা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা রক্ষায় সৎ ও নিষ্টার সাথে কাজ করতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ গড়তে পারবো।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। পুলিশ বাহিনী এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হয়। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। বিনা কারণে জনগণকে হয়রানি করা যাবেনা। কোন পুলিশ সদস্য মাদক ও অন্যান্য অপরাধে জড়ালে ছাড় নেই।

আর.আর.এফ চট্টগ্রামের কমান্ড্যান্ট (এসপি) এম.এ মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম রশিদুল হক। সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, ডিআইজি অফিসের এসপি মোঃ হাসান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোঃ মশিউদ্দৌলা রেজা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণসহ প্যারেড পরিদর্শন করেন ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। পবিত্র কোরআন, গীতা ও ত্রিপিটক হাতে নিয়ে ৪৬তম ব্যাচের টিআরসিদের শপথ বাক্য পাঠ করান এএসআই (সশস্ত্র) রকিবুল হাসান, টিআরসি গৌতম মজুমদার ও সুভাগ্য চাকমা।

অনুষ্ঠান শেষে ৬ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ টিআরসি আফছার আহমেদ ইমন (১০৬), মোঃ আবু সাঈদ মজুমদার (০১), অংসুইনু মার্মা (২৮৫) ও মোঃ আল আমিনকে (২০৮) পদক পরিয়ে সনদপত্র তুলে দেন ডিআইজি। টিআরসিদের সমাপনী কুচকাওয়াজে প্যারেড অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন সশস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক নুর আলম ও সহ অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন এস.আই মোঃ আতিকুর রহমান। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন অনিপ বড়ুয়া ও প্রিয়াংকা বড়ুয়া।