কোটি টাকার বিএমডব্লিউ-মার্সিডিজ বেঞ্জ নিলামে

কোটি টাকার বিএমডব্লিউ-মার্সিডিজ বেঞ্জ নিলামে
কোটি টাকার বিএমডব্লিউ-মার্সিডিজ বেঞ্জ নিলামে

আল-আমিন সিকদার ।।

এবারের নিলামে উঠছে বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জসহ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল ১০টি গাড়ি। বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে খালাস না করায় বিলাসবহুল এসব গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি করে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, নিশান মোটরস ও টয়োটা ব্র্যান্ডের সাতটি গাড়ি।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুর আড়াইটায় কাস্টমের অকশন শেডে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

নিলামকারী সূত্রে জানা যায়, নিলামে উঠা ১২১টি লটের মধ্যে আকর্ষণীয় হচ্ছে বিএমডব্লিউ ও মার্সিডিজ বেঞ্জের গাড়ি দুটি। আর এ দুটি ব্র্যান্ডের গাড়িই বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। ‘বিএমডব্লিউ ৪২৮ আই’ মডেলের গাড়িটি বন্দরে আসে ২০১৬ সালে। জার্মানিতে তৈরি সাদা রঙের এ বিলাসবহুল গাড়িটি আমদানি করেন মুন্সিগঞ্জের লৌহগঞ্জ থানার এইচ.এম. তৌফিক আনোয়ার। গাড়িটির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার ইউএস ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা)। শুল্ক যোগ করে গাড়িটির মূল্য দাঁড়াতো প্রায় কোটি টাকারও বেশি। গাড়িটি তিন বছরেও খালাস করেনি আমদানিকারক ব্যক্তি।

বিএমডব্লিউ’র এই গাড়িটির মত ৯ বছর ধরে বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে পড়ে আছে মার্সিডিজ বেঞ্জের কোটি টাকা মূল্যের আরও একটি গাড়ি। ‘এমএল-৩৫০ ৪এমএটিআইসি’ মডেলের এই গাড়িটির আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় ৪০ হাজার ইউএস ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকা)। শুল্কসহ গাড়িটির মূল্য দাঁড়ায় প্রায় কোটি টাকা। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাজী রবিউল হাউস ২০১০ সালে গাড়িটি বন্দরে আনলেও তা খালাস করেনি।

এছাড়াও, নিলামে ওঠা টয়োটা ও নিশান ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো এ বছরের বিভিন্ন সময়ে বন্দরে এসেছে। তবে নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে গাড়িগুলো খালাস না করায় তা নিলামে তুলছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

গাড়িগুলো হচ্ছে, (১) টয়োটা ব্র্যান্ডের ২০১৪ মডেলের ব্যবহৃত ‘নোহা হাইব্রিড’। গাড়িটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ইরহাম কর্পোরেশন। (২) ২০১৫ মডেলের ব্যবহৃত টয়োটা ব্র্যান্ডের ‘করোলা এক্সিও (হাইব্রিড)’। গাড়িটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান স্পিড ক্লাব অব অটোমোবাইলস। (৩) একই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২০১৬ মডেলের টয়োটা ব্র্যান্ডের ‘প্রিমিও-এফ’ গাড়িটি আমদানি করে। (৪) টয়োটা ব্র্যান্ডের ২০১৩ মডেলের ‘ফিল্ডার করোলা’। গাড়িটির আমদানিকারক এন এইচ এন্টারপ্রাইজ। (৫) টয়োটা ব্র্যান্ডের ২০১৩ মডেলের ‘একোয়া হাইব্রিড’। গাড়িটির আমদানিকারক এইচ.বি অটোমোবাইলস। (৬) ২০১৩ মডেলের টয়োটা ব্র্যান্ডের ‘সিয়েন্টা জিপ’। গাড়িটির আমদানি করে মেসার্স মিচুয়াল ট্রেডার্স। (৭) ২০১৪ মডেলের ব্যবহৃত ‘নোহা হাইব্রিড’। যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাবানা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। (৮) নিশান মোটরসের এক্স-ট্রেইল ২০১৪ মডেলের গাড়িটিরও আমদানিকারক সাবানা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।

এসব বিলাসবহুল গাড়ি ছাড়াও এবারের নিলামের ১২১টি লটের মধ্যে থাকছে ফেব্রিক্স, কেমিক্যাল, গার্মেন্টস মেশিনারিজসহ বিভিন্ন পণ্য।

২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) থেকে ৩০ ডিসেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত দরপত্র দাখিল করতে পারবেন আগ্রাহীরা। জেলা প্রশাসন ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম) মো. মাজেদুল হক। দরপত্র দাখিল না করেও নিলামে অংশগ্রহণ করা যাবে বলে জানান তিনি।