কাগজের বই কী ই-বুকের কারণে হারিয়ে যাবে

কাগজের বই কী ই-বুকের কারণে হারিয়ে যাবে
কাগজের বই কী ই-বুকের কারণে হারিয়ে যাবে

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

১৩০০ বছরের পুরনো বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস । ১৯৫২'র ভাষা শহিদদের সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালি জাতির কাছে সবচেয়ে বড় সম্মানের বিষয়। আজকে আমরা বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে পারছি।

 

জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে বেশ কিছু গুণাবলি বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, হোক সেটি ব্যক্তিগত জীবন কিংবা চাকুরীজীবন। এমন অনেক সফল ব্যক্তিত্বের উদাহরণ রয়েছে যাঁরা নিজের চেষ্টায় বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। আর এর মূল চালিকাশক্তি হল বই পড়ার অভ্যাস।

ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ এবং প্রফুল্ল রাখতে পারি।

বই পড়লে অনেক উপকার। বই পড়ার সর্বপ্রথম উপকারিতা হচ্ছে মানসিক উত্তেজনা, মানসিক চাপ হ্রাস, শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, অন্যের থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন, কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে, নতুন বিষয় আবিষ্কার করে, মনোযোগ বৃদ্ধি করে, যোগাযোগের মন্ত্র, আত্মন্নোতিতে সাহায্য করে।

এক সময় কাদামাটির বুকে পাথরের আঁচড় কেটে মনের ভাব প্রকাশ করতো মানুষ। তারপর অনেক চেষ্টা ও সাধনায় উদ্ভাবিত হয় কাগজ। একইভাবে মুদ্রণযন্ত্রও আবিষ্কৃত হয়। যেগুলো মানব সভ্যতায় এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটিয়েছিল বলেই ধরা হতো। কাগজের বুকে মুদ্রিত অক্ষর সাজিয়ে মানুষ তৈরি করলো বই। অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ বইয়ের জগতে খুঁজে ফেরে নিজের পরিচয়।

কিন্তু কম্পিউটারের জন্মের পর অনেকের মনেই বইয়ের টিকে থাকা নিয়ে নানারকম প্রশ্ন দেখা দেয়। অনেকেই আবার মনে করেন কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে বইয়ের সাথে একটা প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় কম্পিউটার একধাপ এগিয়ে থাকলেও সবাই স্ব স্ব অবস্খানে রয়েছে। অনেক জায়গা থেকেই মুদ্রিত সামগ্রীকে হটিয়ে দিয়েছে কম্পিউটার।

এরপর ইন্টারনেটের আবির্ভাবের ফলে কম্পিউটারের ক্ষমতা বেড়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটি বই বা কাগজকে হটিয়ে পুরোপুরি আমাদের জীবনের দখল নিয়েছে তা বলা যাবে না। বরং কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যাপক প্রাধান্যের এই সময়েও বইয়ের বিক্রি বা প্রচলন কোনটাই কিন্তু কমেনি।

বই এবং কম্পিউটারের মধ্যকার যুদ্ধে উভয়েই সমান তালে লড়লেও বইকে রদ করার জন্য এক সময় এলো ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বই।

ইন্টারনেটের কারণে ডিজিটাল বই সহজলভ্য হওয়ায় ছাপানো বা মূদ্রিত বইয়ের দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে- এরকম কথা শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু অমর একুশে বইমেলায় গেলে তা মনে হয় না। তবে এই মেলাকে কেন্দ্র লেখক ও প্রকাশকদের যে তাড়াহুড়া লক্ষ্য করা যায়, তাতে শেষ পর্যন্ত মানসম্পন্ন বই কতটা বের হয়, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে।

বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজ্যাক আসিমভ বলেছিলেন- ‘আগামীতে কাগজের বই বলে কিছুই থাকবে না। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কাগজের বই হয়ে যাবে ডিজিটাল।’

কাগজের বই না হারালেও মেলায় দর্শকদের একটি অংশ টেনে নিচ্ছে ই-বই। ই-বই কে প্রযুক্তির ভাষায় ই-বুক বলা হয়। ই-বুক গুলো সাধারণত পিডিএফ ফরম্যাটের ফাইলে হয়ে থাকে বা ই-রিডারের উপযুক্ত করে তৈরী হয়ে থাকে যা কোন পাঠক চাইলেই তার স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ বা তার ডেস্কটপ এর মাধ্যমে পড়তে পারে।

এবারের বইমেলায় দেখা যায় বেশকয়েকটি ই-বুকের স্টল রয়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে এগুলো হলো- বইঘর, বেঙ্গল ই-বই, সেই বই ইত্যাদি। মেলায় আসা অধিকাংশ তরুণ দর্শনার্থীরাই ভীড় করছেন এইসব স্টলগুলোতে।

বর্তমানে বিভিন্ন বইয়ের গ্রুপে তাকালেই বোঝা যায় বেশিরভাগ বইপোকারাই এখন ইবুক বা পিডিএফ বইয়ের প্রতি আগ্রহী। টাকা দিয়ে, বাজার ঘুরে বই কেনার যেন এখন আর কোন সময়ই নেই। বিশাল একদল তরুণ-তরুণী বইপ্রেমীরা উপকৃত হয়ে আসছে এই ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে। অনেকেই বিভিন্ন বইয়ের লিঙ্ক চান অথবা ইবুক ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট চান। এখানে বেশকিছু ওয়েবসাইট এর নাম-ঠিকানা থেকে প্রত্যাশিত বাংলা বইটি ফ্রি ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন।

http://www.amarboi.com/

http://www.amarbooks.com/

http://www.amarboi.org/

http://www.banglapdf.net/

http://banglabookspdf.blogspot.com/

http://free-bangla-books.blogspot.com/

http://egronthagar.blogspot.com/

http://banglabook.org/

http://freebanglapdfdownload.blogspot.com/

http://www.banglakitab.com/

http://bnbooks.blogspot.com/

http://freebengalibook.blogspot.com/

http://www.gobanglabooks.com/

http://www.allbdebook.com/

http://www.ebook.gov.bd/