করোনার কারণে চসিক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা
নিউজ ডেস্ক।।
টানা চারদিনের ছুটির কারণে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের কম উপস্থিতির আশঙ্কা করছেন প্রার্থীরা। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় নগরীর অনেক বাসিন্দা পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাবেন। সেই সাথে শহর ছাড়বেন অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা। আবার করোনা আতঙ্কে অনেকেই নিজ ঘরেই অবস্থান করে সময় কাটাবেন। তাতে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বার বার দাবি করে আসছেন নির্বাচন কয়েকদিন পেছানোর জন্য। তার যুক্তি হল টানা ছুটি পেয়ে নগরবাসীর বড় একটি অংশ বেড়াতে চলে যাবে।
এখন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। লম্বা ছুটি পেয়ে ব্যাগ গোছাতে শুরু করেছেন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম শহরের বসবাসকারীদের বড় একটি অংশ শুধুমাত্র সন্তানদের লেখাপড়া করানোর জন্যই ভাড়া বাসায় থাকেন। আরেকটি অংশ বসবাস করেন চাকরির কারণে। তারাও ছুটি পেয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাবেন। এমনিতেই শহরে যেহেতু জনসমাগম বেশি তাই করোনা কিংবা যেকোন ভাইরাসজনিত রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। ঝুঁকি এড়াতে যে যেভাবে পারছে শহর ছাড়ার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক।
যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সম্প্রতি চট্টগ্রামে এসে ভোটের দিন আধা বেলা সব ধরনের অফিস খোলা রাখার ঘোষণা দেন। মূলত ভোটারদের শহরে রাখতেই নির্বাচন কমিশন এই উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনার ঝড় উঠছে। নির্বাচন কি পিছিয়ে যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যেখানে বার বার সমাবেশ এবং জনসমাগমকে বার বার নিরুৎসাহিত করছে, সেখানে ভোটের দিন ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে কীভাবে ভোট দেবেন। এমনিতে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং সমুদ্র বন্দরের কারণে চট্টগ্রাম করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে বলা হচ্ছে।
গতকাল চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনও এই ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গতকাল অনেকটা কড়া ভাষায় বলেছেন, আমরা এতদিন জনসমাগমকে নিরুৎসাহিত করেছি। এখন বলছি আপনারা জনসমাগম বা সমাবেশ করবেন না। তাতে ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, বন্দর নগরী হিসেবে নভেল করোনাভাইরাসের ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকি’র মধ্যে চট্টগ্রাম থাকলেও কভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেলে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা ‘সীমিত সীমার মধ্যে’।
করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কোনো কিটস বন্দর নগরীতে এখনও নেই, যা ‘নীতিগত সিদ্ধান্তের’ কারণে আসেনি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে বিকল্প সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গতকাল সোমবার বিকালে নিজের কার্যালয় হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে করোনাভাইরাস মোকাবেলার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি একথা বলেন।