৩ শৈত্যপ্রবাহ চলতি মাসেই, সরকার প্রস্তুতি জানালো

৩ শৈত্যপ্রবাহ চলতি মাসেই, সরকার প্রস্তুতি জানালো
৩ শৈত্যপ্রবাহ চলতি মাসেই, সরকার প্রস্তুতি জানালো

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ছিল কনকনে শীত, সাথে ছিল কুয়াশা। এদিকে গত কয়েকদিন তাপমাত্রা খানিকটা বৃদ্ধি পেলেও চলতি জানুয়ারি মাসে সারাদেশে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ৬ জানুয়ারি পর একটি এবং মাসের শেষ সপ্তাহে আরেকটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। আর মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন।

প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের আগে জানুয়ারি মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বিস্তারিত জানান অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন। তিনি বলেন; ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, বছরের প্রথম মাসের প্রথমার্ধেই দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হবে। বুধবার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়া দেশের সব স্থানেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল এ বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে।’

আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যাবে জানিয়ে সামছুদ্দিন বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে আরও দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে বিভিন্ন বিভাগের জেলাগুলোতে কনকনে শীত অনুভূত হবে। আগামী ৩, ৪, ও ৫ জানুয়ারি বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত হওয়ার পর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন স্থানে নামতে শুরু করবে এবং শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরাজমান থাকবে। গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হবে।’ সামছুদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু অংশ এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি থাকবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের আরেকটি অঞ্চল বাঘাইছড়ি ও এর আশেপাশে শীতের তীব্রতা হবে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।’

গত ডিসেম্বরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। জানুয়ারিতেও সেখানে একই ধরনের অবস্থা বিরাজ করতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক। এবার তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা দেখছেন কি না এ প্রশ্নে সামছুদ্দিন বলেন, গত বছর রেকর্ডে ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। এবারের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। আরও সপ্তাহখানেক পরে হয়ত বোঝা যাবে।

‘ডিসেম্বরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গিয়েছিল, ডিসেম্বরের শেষ দিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার পাশাপাশি সূর্যের আলো কম থাকায় শীতের তীব্রতা প্রচণ্ড ছিল। তাপমাত্রার মাপকাঠিতে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রিকে হয়ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলেছি, কিন্তু সূর্যের আলো কম থাকায় ও কোথাও কোথাও কনকনে হিমেল হাওয়া থাকায় শীতের তীব্রতা সারাদেশেই প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছে তখন।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসীন ।