প্রকৃত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা না থাকায় আতঙ্কে কাটে সীতাকুন্ডের উপকূলবাসী

প্রকৃত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা না থাকায় আতঙ্কে কাটে সীতাকুন্ডের উপকূলবাসী
হতাশায় কাটে সীতাকুন্ড উপকূলবাসীর জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুন্ড ।।

প্রকৃতিগতভাবে সমুদ্র ও পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় হাজার হাজার পরিবারের বসবাস সীতাকুন্ডের সমূদ্র উপকূল ও পাহাড়ী এলাকায় । শিল্পাঞ্চলের খ্যাতিতে সমতলে আবাসন সংকটের কারনে ঝুকিপূর্ন স্থানে বসবাসে বাধ্য হচ্ছে অসহায় পরিবারগুলো। নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়ে পাহাড় ও উপকূল অঞ্চলকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলা হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে ঝুঁকিতে পড়ে প্রতি বছর জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অথচ বছর বছর ঝুঁকিপূর্ন মানুষদের রক্ষায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিকল্পনা নেয়া হলেও যথপোযুক্ত ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপের অভাবে রক্ষা হচ্ছে না জানমাল।

উপজেলা পরিষদের অধিনে নামমাত্র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শত শত ভলন্টিয়াররা খাতা-কলমে নিয়োজিত থাকলেও থাকে না মাঠে-ময়দানে। যার ফলে দুর্যোগের ঘনঘটার সাথে উপকূল ও পাহাড়ি এলাকাজুড়ে নেমে আসে চরম দুর্দশা।

একজন কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহকারীর অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ৬৩ টি স্বেচ্ছাসেবক দল। স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে বিভিন্ন ইউনিটে ১১১০ স্বেচ্ছাসবী নিয়োজিত রয়েছে। নিয়ম মাফিক যে কোনো দুর্যোগে দায়ীত্বে কর্তব্যরত ভলন্টিয়াররা কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও দুর্যোগপূর্ন মুহুর্তে কারো দেখা মেলে না বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলেন, দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ায় ঝঁড়ের অবস্থা জানা সম্ভব হয়ে উঠে না। নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়ার লোক খোঁজে পাওয়া যায় না। ঘুর্নিঝড়ে সব কিছু ভেসে যাওয়ার পর মাঝে মধ্যে দেখা যায় রেডক্রিসেন্টের পোশাক পরিধাকারী গুটি কয়েক লোকদের। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশনা দিলেও পানীয় জল ও খাবারের ব্যবস্থা থাকে না বলে জানান তারা।

এদিকে, কোনো প্রকার বেতন-ভাতা না থাকায় দায়িত্ব পালনে অনিহা দেখান নিয়োজিত ভলন্টিয়ারররা। বছরে দু-একটি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা হাতে নেয়া হলেও থাকেনা ভাতা ও নাস্তার ব্যবস্থা। তড়িগড়ি প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বরাদ্ধকৃত অর্থ কর্তাদের পকেটভারী হয়। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকরন ক্রয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। তাছাড়া কর্তব্যরত কর্মকর্তার অনপুস্থিতির কারনে একজন অফিস সহকারী ও একজন পিয়নের মাধ্যমে চলে অফিসের কর্মকান্ড ।

এ বিষয়ে উপজেলা রেডক্রিসেন্ট কর্মসূচি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ে উপ- পরিচালক হাফিজ আহাম্মদ বলেন,‘ বেতন-ভাতা ছাড়া স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে ভলন্টিয়াররা। কাজের গতি আনতে হলে ভলন্টিয়ারদের কিছুটা ভাতার আওতায় আনা উচিৎ । বরাদ্ধ না থাকায় প্রশিক্ষনের সুবিধা দেয়া যায় না। অবশ্য উপকরনগুলো সকল ভলন্টিয়ারদের মাঝে বিতরন করা হয় বলে জানান তিনি।