সীতাকুন্ডে ঘনবসতি এলাকায় কন্টেইনার ডিপো অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

সীতাকুন্ডে ঘনবসতি এলাকায় কন্টেইনার ডিপো অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
সীতাকুন্ডে ঘনবসতি এলাকায় কন্টেইনার ডিপো অপসারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গামারীতলা গ্রামের ভিতরে কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ করায় গ্রামের মানুষদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতস্ক বিরাজ করছে। ঘনবসতি এলাকায় কন্টেইনার ডিপো অপসারণে বৃহস্পতিবার সকালে শত শত স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মিলে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করেন।

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে স্বারকলিপিও প্রদান করেন গ্রামবাসি। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ও সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ।

স্থানীয়রা জানান , উপজেলার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গামারীতলা এলাকার নুরুল আলম চৌধুরী নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি গ্রামের মধ্যে ১ আগস্ট থেকে স্বত্বাধিকারী ইস্পাহানি সামিট এ্যালায়েন্স টার্মিনাল লি. নামে একটি কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ করেছে। এর ফলে মহাসড়ক থেকে গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত কন্টেইনার ট্রাক চলাচল করছে। এ কারণে গ্রামের মানুষের চলাচলের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া এলাকায় অবস্থিত স্কুলের শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসলীদের যাতায়াতের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামের মধ্যে ট্রাক ও কন্টেনার ডিপো তৈরীর ফলে প্রতিদিন প্রায় ৫০০/৬০০ কন্টেইনার ট্রাক আসা যাওয়া করে। ফলে স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের চলাচলা বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। ট্রাক গুলোতে শত শত রাসায়নিক পদার্থসহ বিভিন্ন ক্যামিকেল আনা নেওয়া করছে। যার ফলে চরম আতংকের মধ্যে রহিয়াছে এলাকাবাসী।

তারা বলেন, আমাদের গামারীতল এলাকায় আলহাজ মোস্তাফা হাকিম সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়ে ৪/৫শত ছাত্র-ছাত্রী আছে। গ্রামের কোন ধরনের যানবাহন এই কন্টেইনার ডিপোর ট্রাকের জন্য মহাসড়কে উঠতে পারে না। এই কন্টেইনার ডিপো যদি গ্রাম থেকে সরিয়ে না নেয়, যে কোন সময় বড় ধরনের বিএম ডিপোর মত ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।

মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রামের ভিতরে কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ বিষয়ে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মানববন্ধনে শত শত স্কুলের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসির আবেদন আমি নিজেই উপস্থিত হয়ে শুনেছি। এভাবে স্কুলের দেয়াল ঘেসা, শিক্ষার্থীদের বাইরের আলো-বাতাস বন্ধ রেখে এবং ঘনবসতি এলাকায় কোন অবস্থাতেই কন্টেইনার ডিপো করা সমুচিন নয়। আমরা স্থানীয়দের শান্ত নির্দেশ দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি, খুব কম সময়ের মধ্যে কন্টেইনার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্বীদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

খালেদ/ পোস্টকার্ড ;