সীতাকুণ্ডের সাগরে জেলের জালে ধরা পড়ল দুর্লভ প্রজাতির ‌‌ইলেকট্রিল ইল মাছ

সীতাকুণ্ডের সাগরে জেলের জালে ধরা পড়ল দুর্লভ প্রজাতির ‌‌ইলেকট্রিল ইল মাছ
সীতাকুণ্ডের সাগরে জেলের জালে ধরা পড়ল দুর্লভ প্রজাতির ‌‌ইলেকট্রিল ইল মাছ

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

দুর্লভ প্রজাতির বৈদ্যুতিক ইলেকট্রিল ইল মাছ ধরা পড়েছে সীতাকুণ্ডের সাগরে । শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর)  পৌরসদরের রূপালী মৎস্য আড়ত নামক একটি প্রতিষ্ঠানে এক ব্যক্তি মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে তোলপাড় শুরু হয়। প্রথমে মাছটিকে কেউ চিনতে না পারলেও শেষে মৎস্য কর্মকর্তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে মাছটিকে শনাক্ত শেষে অতি সাবধানে কাটার অনুমতি দেয়া হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, সকালে পৌরসদরের রুপালী মৎস্য আড়তে সীতাকুণ্ডের টেরিয়াইল এলাকার এক ব্যক্তি মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু আড়তদারসহ কেউ মাছটিকে শনাক্ত করতে পারছিলেন না। শেষে তাদের খবর দেয়া হয়। তারা মাছটি দেখলেও প্রথমে চিনতে পারিনি। পরে আরও অন্যান্য মৎস্য বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় আমরা মাছটিকে ইলেকট্রিল ইল মাছ বলে শনাক্ত করতে সক্ষম হই।

তিনি জানান, ইলেকট্রিক ইল সাধারণত একটি মাছ। এদের দেখতে অনেকটা বাইন মাছের মতো। এরা সাধারণত ৬-৭ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের ওজন ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত হয়। দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাগর ও নদীর স্বচ্ছ পানিতে এবং কাদা পানিতেও এ মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের জলসীমায় এ মাছ তেমন একটা দেখা যায় না। এর নাম ইলেকট্রিক ইল বলা হয় কারণ এরা দেহে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এরা ভয় পেলে কিংবা শত্রুদের আক্রমণ করতে এরা ৫০০-৮০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। কোনো কারণে যদি এই শক মানুষের গায়ে লাগে তবে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মানুষটি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মারা যাবে। তবে এ মাছ মারা গেলে এদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকে না বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তারা। ফলে মৃত্যুর পর অন্যান্য মাছের মতো এই মাছও খাওয়া যায়। ফলে এ মাছটিকে ক্রয়-বিক্রয় কিংবা কাটতে হবে সাবধানে।

সীতাকুণ্ডের রুপালী মৎস্য আড়তের মালিক লিয়াকত আলী বলেন, মাছটি ৪ ফুট লম্বা ও ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের। প্রথমে মাছটি আমরা চিনতে পারিনি। পরে মৎস্য কর্মকর্তার সহযোগিতায় নামসহ অন্যান্য বিষয় জানার পর এটি আমি কিনেছি। মাছটিকে সাবধানে কেটে বিক্রি কিংবা খেতে বলা হয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;