সীতাকুণ্ডে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ, কিনতে পারছেনা স্থানীয়রা

সীতাকুণ্ডে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ, কিনতে পারছেনা স্থানীয়রা
সীতাকুণ্ডে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ, কিনতে পারছেনা স্থানীয়রা

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ। ঝাঁকে ঝাঁকে জালে আটকা পড়ছে রুপালী ইলিশ। সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ঘাটে ইলিশ বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। পাইকারিতেই প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে এই দাম প্রতি কেজি হাজার টাকা। বিভিন্ন আড়তে ইলিশের আকার ভেদে প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৭ হাজার টাকা করে।

লতিফপুর ঘাটে ইলিশ কিনতে আসা গোলাম কিবরিয়া জানান, জেলেরা বলছে সীতাকুন্ডের উপকূলীয় এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে। তাতে তারা খুব খুশি। আমি কিন্তু খুশি না কারণ এতো ইলিশ আসছে তবু কমছে না ইলিশের দাম। এখানে কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এতো টাকা দিয়ে কিভাবে ইলিশ কিনবো। পরিবার থেকে যা টাকা দিয়ে পাঠিয়েছে তাতে ইলিশের আশেপাশে লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে ঘুরছি শুধু । তবে এখানে যে ইলিশ ৮০০ টাকা বিক্রি করছে খুচরা বাজারে তা ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা দাম।

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চট্টগ্রামে গত বছর ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪৮৭ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৬৮৩ দশমিক ৭১ টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ছয় হাজার ৯৫৬ দশমিক ৬৩ টন ইলিশ ধরা পড়ে। আর সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ ধরা পড়ে সাত হাজার ৪৪৩ দশমিক ৬২ টন। সে হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে ইলিশ পাওয়া গেছে প্রায় এক হাজার ৭৬০ টন বেশি।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন,  মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর । প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থায়ী মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। সরকারের এমন ব্যবস্থাপনার ফলে এরই মধ্যে ইলিশের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে এসেছে ।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রজনন মৌসুমে সরকারের নানা উদ্যোগ ও কঠোর অবস্থানের কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে দাবি করছেন তিনি ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;