সীতাকুণ্ডে চলছে সওজের জমি দখলের মহোৎসব, দেখার কেউ নেই

সীতাকুণ্ডে চলছে সওজের জমি দখলের মহোৎসব, দেখার কেউ নেই
সীতাকুণ্ডে চলছে সওজের জমি দখলের মহোৎসব, দেখার কেউ নেই

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

স্থানীয় ভুমিদস্য একটি চক্র চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সড়ক ও জনপথ(সওজ)জমি দখলে মেতে উঠেছে । স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এ দখলের মহোৎসব দিনের বেলায় তেমন দেখা না গেলেও রাত যত গভীর হয় তত শুরু হয় দখলের কারবার। যেখানে প্রতিরাতে ৩০/৪০ জন লেবার এই দখল কাজে লিপ্ত থাকে এবং সাথে থাকে দখলদারের সন্ত্রাসী বাহিনী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দখলের এই মহোৎসব চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ভাটিয়ারি পোর্টলিংক গেইটের পশ্চিম পাশে আনোয়ার আলম গং ৬৫ শতক এবং কিছু উত্তরে বিএম স্কুলের পশ্চিম পাশে কেন্দুয়া পাড়া মো.নুরুল আবছার ১০০ শতক। কেন্দুয়া পাড়ার সওজের জায়গায় ইতিমধ্যে দখলদার একটি সেমিপাকা বিল্ডিং, ৪টি ভাড়া ঘর ও সওজের কিছু জায়গার উপর একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। অপরদিকে পের্টলিংকের পশ্চিম পাশের অংশে রাতের বেলায় কাজ করছে পুরাতন স্ক্র্যাপ জাহাজের পিলার দিয়ে দুতলা ঘর নিমার্ণে। দখলকৃত জায়গা আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকার মত। এভাবে মহাসড়কের পাশের জায়গা দখল হতে থাকলে পথচারী পারাপার ও সড়কের উপর গাড়ি পাকিং করে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্মুক্ষিণ হতে পারে। তাই স্থানীয় ও সমাজের সাধারণ জনগণের দাবি খুব অতি দ্রুত সম্ভব সওজের জায়গা দখলমুক্ত করা। তা না হলে ভুমিদুস্য ও ভুমি খেকোরা দিনের পর দিন সড়ক ও জনপথ এবং সরকারি জায়গা দখল করতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করবে না।

সওজের জায়গা দখলের বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “সড়কের পাশে খালি জায়গা থাকলে অনেক সময় গাড়ি চালক ক্লান্ত হয়ে পড়লে সড়কের উপর গাড়ি না রেখে পাশের খালি জায়গা রেখে বিশ্রাম করতে পারেন। এতে সড়কের দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। বি.এম স্কুলের পশ্চিম পাশে প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় কয়েক কোটি টাকার জায়গাটি জনৈক আবছার ইতিমধ্যে দখল করে ভবন ও ভাড়াঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। একই ভাবে আনোয়ার আলম ও আবছার গংরা পোর্টলিংকের পশ্চিম পাশেও দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকা জায়গাগুলো সওজের কর্তাব্যাক্তিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের বেলা নির্মাণ কাজ করছেন। অতিদ্রুত এসব কাজ বন্ধ করা না গেলে সওজের কোটি কোটি টাকার জায়গা বেদখল হবে এবং পরবর্তীতে দখল করতে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্ছা দিতে হবে।”

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার্শ্ববর্তী সড়ক ও জনপথের কোটি কোটি টাকার জায়গা দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ডিভিশন নিবার্হী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন বলেন, “আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। সওজের জায়গা দখল করে কেউ রাখতে পারবে না। সে যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন ? পোর্টলিংক এলাকায় রাতের বেলায় জায়গা দখলে বিষয়টি আমরা শুনেছি, খুব দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।”