শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার -২ এর উদ্ধোধন

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার -২ এর উদ্ধোধন
শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার -২ এর শুভ উদ্ধোধন

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

চট্টগ্রাম ওয়াসার বাস্তবায়িত রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটায় স্থাপিত 'শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার' এর দ্বিতীয় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় সম্পন্ন হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রান্তে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী্সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল বলেন, শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মহানগরীই নয়, এই প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলে কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত শিল্প এলাকা এবং পটিয়া, আনোয়ারা ও বোয়ালখালী এলাকার জনগণকে পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় আনা হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পানি সরবরাহ প্রকল্প-২ এ যাবতকালে বাস্তবায়নকৃত সবচেয়ে বড় প্রকল্প। প্রকল্পটি থেকে নগরবাসীর পানি সমস্যা অনেকটা লাঘব হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ সেবা অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ এর সুফলভোগী হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, এ শোধনাগারের মাধ্যমে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীতে নির্বিঘ্নে পানি সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ কোটি ৩০ লাখ লিটার। সরকার ২০১৬ সালে শেখ হাসিনা পানি সরবরাহ প্রকল্প-২ এর কাজ শুরু করে। তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্যাকেজ-১ এর অধীনে ইনটেক ও ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ, নাসিরাবাদে রিজার্ভার এবং হালিশহরে এলিভেটেড ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। প্যাকেজ-২ এর অধীনে ট্রান্সমিশন ও কনভেয়েন্স পাইপলাইন নির্মাণ এবং প্যাকেজ-৩ এর অধীনে নগরীর পুরাতন পাইপলাইনের পরিবর্তে নতুন পাইপলাইন বসানো হচ্ছে।

এ প্রকল্প থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে পানি উৎপাদন শুরু হয় এবং নগরবাসীর মাঝে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রকল্পে জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে মোট ৪ হাজার ৪ শত ৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে জাইকা ৩ হাজার ৬শ ২৩ কোটি ২৮ লাখ, বাংলাদেশ সরকার ৮শ ৪৪ কোটি ৮০ লাখ এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার তহবিল থেকে ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করে। বর্তমানে উৎপাদন করা হচ্ছে দৈনিক ৮ কোটি লিটার।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;