মায়ের মৃত্যুর জন্য প্যারোলে মুক্ত মামুন , শেষবার দেখলেন মায়ের মুখ

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

মায়ের মৃত্যুর জন্য প্যারোলে মুক্ত মামুন ,  শেষবার দেখলেন মায়ের মুখ
মায়ের মৃত্যুর জন্য প্যারোলে মুক্ত মামুন , শেষবার দেখলেন মায়ের মুখ

মায়ের মৃত্যুর জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় প্যারোলে মুক্তি পান অর্থ পাচার মামলায় দণ্ডিত বিতর্কিত ব্যবসায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন।

মামুনের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাকে প্যারলে মুক্তি দেয় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, প্যারোলের শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না গিয়াস আল মামুন। তাকে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারায় রাখা হবে। প্যারোলের সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হবে।

জানা যায়, ১২ বছর ধরে কারাগারে থাকা মামুন প্যারলে মুক্ত হয়েই রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে শুক্রাবাদের বাসায় যান। শুক্রাবাদ জামে মসজিদে তার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

মামুনের পরিবার জানিয়েছে, সময় স্বল্পতার কারণে জানাজায় অংশগ্রহণ করলেও বনানী কবরস্থানে মায়ের দাফনের জন্য যেতে পারেন তিনি। এরপর কিছু সময় তিনি শুক্রবাদের বাসায় ছিলেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামুনকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বার্ধক্যজনিত কারণে গত বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মা মোসাম্মত হালিমা খাতুন মারা যান। মায়ের মৃত্যুতে মামুনের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদন করেন তার ভাই জালাল উদ্দিন রুমী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রাবাদের পৈত্রিক নিবাসসংলগ্ন সরকারি কলোনি মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মামুনের বাবা জয়নাল আবেদীনের কবরের পাশে মা হালিমা খাতুনকে সমাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এক মামলায় আদালতের রায়ে সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে মামুনের। ওই মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে জজ আদালত খালাস দিলেও আপিলের রায়ে হাই কোর্ট তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেয়।

চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে।