মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে এগিয়ে , সিনেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে এগিয়ে , সিনেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে এগিয়ে , সিনেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ রাজ্যেই মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। প্রাথমিক ফলাফলে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে বিরোধী রিপাবলিকানদের এগিয়ে থাকার আভাস মিলেছে। তবে উচ্চকক্ষ সিনেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, এখন পর্যন্ত কংগ্রেসের সিনেটে ১০০ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীরা ৪৭টি করে আসনে বিজয়ী হয়েছেন। আর প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত রিপাবলিকানরা পেয়েছেন ১৯০ আসন এবং ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছেন ১৫৪টি।

এবার চূড়ান্ত ফলাফল পেতে বিলম্ব হতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তিত হয়েছে কি না, তা হয়তো আজই জানা যাবে। তবে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ জানতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে।

জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া ও নেভাডা—এই চার অঙ্গরাজ্যের সিনেট আসনে কে জিতবে, তার ওপর নির্ভর করবে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে থাকবে। এর মধ্যে জর্জিয়ায় কোনো একজন প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে রান-অফ বা পুনর্ভোট গ্রহণের নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ফল পেতে আরও অন্তত এক মাস লাগতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও সংসদীয় ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ মধ্যবর্তী নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন করে কংগ্রেস। এ জন্য সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস—দুটি কক্ষ আলাদাভাবে কাজ করে। কোন আইনগুলো অনুমোদনের জন্য সিনেটে উঠবে তা নির্ধারণ করে নিম্নকক্ষ।

কংগ্রেসের সদস্যসংখ্যা ৫৩৫ জন। এর মধ্যে সিনেটের সদস্য ১০০ জন, বাকিরা প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য দুজন করে সিনেট সদস্য নির্বাচিত করে, যাঁরা সিনেটর হিসেবে পরিচিত এবং ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। প্রতি দুই বছর পরপর সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৫টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য আছেন ৪৩৫ জন। প্রত্যেক সদস্য তাঁদের অঙ্গরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁরা দুই বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। এই পরিষদের সব আসনের জন্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় মধ্যবর্তী নির্বাচনে।

কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে দুই বছর পর হয় এই মধ্যবর্তী নির্বাচন। ডেমোক্র্যাট না রিপাবলিকান—এবার কাদের দখলে থাকছে কংগ্রেস, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত।

খালেদ / পোস্টকার্ড;