বাংলাদেশের প্রতি উপজেলা থেকে ১০ জনকে ধরতে চায় দুদক

বাংলাদেশের প্রতি উপজেলা থেকে ১০ জনকে ধরতে চায় দুদক
বাংলাদেশের প্রতি উপজেলা থেকে ১০ জনকে ধরতে চায় দুদক

দুদক কমিশনার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দুদক এখন আর দন্তহীন বাঘ নয়। দুদক এখন একটি শক্তিশালী স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। দুদকের কামড় দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। দুদকের আঁচড় লাগলেও অনেকে সহ্য করতে পারে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার আরো বলেন, দুদক ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই তালিকা আরও দীর্ঘ হবে, বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুষ্ট লোকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। ৪৯২টি উপজেলা রয়েছে। প্রতি উপজেলায় যদি ১০ জন করে দুষ্ট লোককে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা যায় তাহলে দেশ থেকে দুর্নীতি-অনিয়ম অনেকটা কমে যাবে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। দুর্নীতি করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রভাবশালীরা দুদকের জালে আটকা পড়ে আইনের আওতায় আছে। তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গদের আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সেক্টর কমান্ডার ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রূপগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব) কে এম শফিউল্লাহ, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আকতার হোসেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ ও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম।

পরে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রূপগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, স্বাস্থ্য বিভাগ, ভূমি অফিস, শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দুদক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগকারিদের মুখোমুখি হন। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগকারী সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সেবা না পাওয়াসহ দুর্নীতি অনিয়মের নানা অভিযোগ করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১১০টি অভিযোগ গণশুনানিতে উঠে আসে। বাসস।