আনোয়ারার বটতলী - রুস্তমহাট সড়কের বেহাল দশা

আনোয়ারার বটতলী - রুস্তমহাট সড়কের বেহাল দশা
আনোয়ারার বটতলী - রুস্তমহাট সড়কের বেহাল দশা

আনোয়ারা প্রতিনিধি ।।

আনোয়ারা বটতলী রুস্তমহাট সড়কের রুস্তম হাট বাজার থেকে বরুমচড়া সওদাগর দীঘির পাড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। উপজেলার গুরুত্ব পূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে দুই ইউনিয়নের লোকজন ও যান চলাচল করলেও সড়কটি সংস্কার হচ্ছেনা দুই বছর ধরে। কর্তৃপক্ষ বলছে সড়কটি সংস্কারের টেন্ডার হয়েছে ৬ মাস আগে কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বৃষ্টির কারণে কাজ করতে পারছেনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বটতলী রুস্তম হাট থেকে বরুমচড়া সওদাগর দীঘির পাড় ৬ কিলোমিটার সড়কের ২ কিলোমিটারেই বড় বড় গর্তে পানি জমে আছে। এসব গর্তদিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলছে সিএনজি অটোরিক্সা, ট্রাক ও ভ্যান গাড়ী। সড়কের কার্পেট উঠে গেছে অনেক আগেই, কিছু কিছু অংশে ইট বিছানো হলেও দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় সেই ইটও গর্তে ডুকে বিপদজনক হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, বটতলী রুস্তম হাট বাজারের অধিকাংশ কাঁচামাল ও তরিতরকারি বরুমচড়া- রুস্তম হাট সড়কটি দিয়ে আসে। এ সড়ক দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা,ভ্যান ছাড়াও গরু ও তরকারি বোঝাই ট্রাক চলাচল করে। দুই ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত এই সড়কটি দিয়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন কার্পেট উঠে গর্ত হয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়লেও কর্তৃপক্ষের নজর নেই এ সড়কটিতে।

স্থানীয় ভ্যান চালক আবুল কলাম জানায়, সড়কটি দিয়ে মালামাল-তরকারি নিয়ে বরুমচড়া যাওয়ার পথে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে সড়কের এসব গর্তে দুই ফুট পর্যন্ত পানি জমে যায়। তখন গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।

আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী জানান, গুরুত্ব পূর্ণ এ সড়কটি অনেক আগে সংস্কারের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিভিন্ন বাহনায় কাজ করছেনা। বর্ষায় লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি।

আনোয়ারা উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী তসলিমা জাহান জানান, সড়কটি টেন্ডার হয়েছে। বর্ষায় বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য বলা দেয়া হয়েছে।