বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে থাকলো, এত আওয়ামী লীগ নেতা পঁচাত্তরে কোথায় ছিল : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে থাকলো, এত আওয়ামী লীগ নেতা পঁচাত্তরে কোথায় ছিল : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে থাকলো , কোনো পদক্ষেপ নিল না কেউ : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে থাকলো, এত আওয়ামী লীগ নেতা পঁচাত্তরে কোথায় ছিল : প্রধানমন্ত্রী

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারের হত্যার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, এত বড় একটা ঘটনা, কিন্তু বাংলাদেশের কোনো লোক জানতে পারল না? কেউ কোনো পদক্ষেপ নিল না? সে কথাই এখনও ভাবি! জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ পড়ে থাকলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে! এত বড় সংগঠন, এত নেতা, কোথায় ছিলেন তখন? মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘মাত্র সাড়ে তিনটা বছর তিনি সময় পেয়েছিলেন। এই সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের দুভার্গ্য, যখন বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধস্ত দেশ গড়ে তুলে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। শুধু তাঁকে একা না, আমাদের পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করল ঘাতকরা। এমনকি আমার মেজো ফুফু, ছোট ফুফু সব বাড়িতেই তারা হানা দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো এই ব্যর্থতার খেসারতই দিতে হয়েছে জাতিকে। কারণ জাতির পিতাকে হত্যার পর ১৮/১৯ টা ক্যু হয়েছে। অত্যাচার নির্যাতন চলেছে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর। সেই সময় যদি কেউ সাহস করে দাঁড়াত, হয়তো এ অত্যাচার হতো না।

দারিদ্র্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা একসময় বলেছিল বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। এই দেশ কিছু করতে পারবে না। এ দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাদের আমরা দেখিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশ পারে কি না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছে তাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ ভাগ। এক ভাগ হলেও তাদের চেয়ে দারিদ্র্যের হার আমরা কমাবো। দারিদ্র্যের হার আজই ২১ থেকে ২০ ভাগে নেমে এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান ছাড়াও আমরা অনেক দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই এগিয়ে যাওয়ার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে আছি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এবং দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সভাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।