ফেসবুকের ভুয়া খবর চড়ানো টেকাতে কঠোর উদ্যোগ সিঙ্গাপুরের

ফেসবুকের ভুয়া খবর চড়ানো টেকাতে  কঠোর উদ্যোগ সিঙ্গাপুরের

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

ফেসবুকে ভুয়া খবর ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে হরহামেশাই সংবাদের শিরোনাম হয়ে আসছে মার্ক জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠানটি। যখন এই ভুয়া খবরের জেরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে উদ্বেগ বাড়ছেই বিশ্ব জুড়ে! টিক তখনই ফেসবুকের এই ভুয়া খবর চড়ানো টেকাতে  কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে সিঙ্গাপুর। ভুয়া খবর ঠেকানোর আইন পাস করে তার প্রয়োগ শুরু করেছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে ফেসবুককে এক ব্যক্তির পোস্ট করা একটি ভুয়া খবর ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়। খবর রয়টার্স

সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম এক বিবৃতিতে বলেন, প্রটেকশন ফ্রম অনলাইন ফলসহুড অ্যান্ড ম্যানিপুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে টার্গেটেড কারেকশন ডাইরেকশন দিতে নির্দেশ দিতে বলেছেন। এর আওতায় ফেসবুককে ব্যবহারকারীর ফেসবুক পেজে একটি সংশোধন বার্তার নোটিশ দেখাতে হবে। ভুয়া খবর ঠেকানোর ক্ষেত্রে এটি দেশটির প্রথম পদক্ষেপ।

ফেসবুক তাদের ইস্যু করা নোটে জানায়, আইন মেনে বলতে হচ্ছে, সিঙ্গাপুর সরকার বলছে এ পোস্টের তথ্য ভুয়া।’ এসটিআর-র মূল পোস্টের নিচে এমবেড করে দিয়েছে ফেসবুক। তবে এটি কেবল সিঙ্গাপুরের ফেসবুক ব্যবহারকারীরাই দেখতে পাচ্ছেন।

বিবিসিকে ইমেইলে দেয়া এক বিবৃতিতে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা একটি পোস্টের নিচে ‘সিঙ্গাপুর সরকারের দাবি করা ভুয়া তথ্য তথ্যের’ লেবেল লাগিয়েছে, যা ‘ভুয়া নিউজ’ আইনের অধীনে দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলা হয়, মানুষের বাকস্বাধীনতায় সিঙ্গাপুরের নতুন আইন কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। এটির স্বচ্ছ ও যথাযথ প্রয়োগ হবে।

গত শনিবার স্টেট টাইমস রিভিউ পেজে অ্যালেক্স তান জি জিয়াং নামের এক ব্লগার একটি পোস্ট করেন। ওই পোস্টে নির্বাচনে কারচুপিসংক্রান্ত অভিযোগ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর সরকারের পক্ষ থেকে এ পোস্টকে অস্পষ্ট ও মিথ্যা প্রচার হিসেবে দাবি করা হয়েছে।

তানকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে নির্দেশ দিলেও তিনি নিজেকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে দাবি করে ওই পোস্ট মুছতে অস্বীকৃতি জানান।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তান আইন না মেনে পোস্ট করায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। আইন অনুযায়ী, ফেসবুক যদি নির্দেশ অনুসরণ করে সংশোধন বার্তা না দেয়, তবে ১০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানা হবে ফেসবুকের।

বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা একে বাক্‌স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং ইন্টারনেটে সেন্সরশিপ আরোপের সরকারি অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছে।