পাঞ্জাবি পরে প্রবেশ নিষেধ চট্টগ্রাম ক্লাবে, ক্লাব চলে ব্রিটিশ নিয়মে!

পাঞ্জাবি পরে প্রবেশ নিষেধ চট্টগ্রাম ক্লাবে, ক্লাব চলে ব্রিটিশ নিয়মে!
পাঞ্জাবি পরে প্রবেশ নিষেধ চট্টগ্রাম ক্লাবে, ক্লাব চলে ব্রিটিশ নিয়মে !

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

পাঞ্জাবি পরে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম ক্লাবের ড্রেস কোড নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেস কোড অনুযায়ী, টি-শার্ট ও শার্টের সঙ্গে পরতে হবে ফরমাল শু বা ক্লাব নির্দেশিত স্যান্ডেল। এ ড্রেস কোডের বাইরে পাঞ্জাবি পরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্লাবের একাধিক সদস্য। তাঁরা বলছেন, এ নিয়ম বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অবশ্য ক্লাবের বর্তমান চেয়ারম্যান নাদের খান বলছেন, ক্লাব বাই-লজ মেনে পরিচালিত হয়। বাই-লজে ড্রেস কোড নির্ধারিত আছে। সেটি মেনেই ক্লাবে আসতে হবে।

অভিযোগ রয়েছে, কয়েক বছর আগে প্রাইম ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন দেশের স্বনামধন্য একটি শিল্প গ্রুপের চেয়ারম্যান। পাঞ্জাবি পরায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ২০২১ সালে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাঞ্জাবি পরায় একজন ব্যবসায়ীকে ক্লাব থেকে বের করে দেওয়া হয়। ক্লাব কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে রীতিমতো বিব্রত অনুষ্ঠান আয়োজকেরা। ব্রিটিশদের তৈরি অবমাননাকর এ নিয়ম এখনো কীভাবে বহাল, সেই প্রশ্ন অনেকের।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের এগিয়ে আনতে হবে। আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংস্কৃতি আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, মন মানসিকতায় আমরা এখনো স্বাধীন হতে পারিনি। ব্রিটিশদের গোলামি আমরা এখন মনমানসিকতায় লালন করি।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ক্লাবের চেয়ারম্যান নাদের খান বলেন, মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন অব চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেড ও সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে ক্লাবের বাই-লজ অনুযায়ী ক্লাব পরিচালিত হয়। ক্লাব নিজস্ব আইনকানুন মেনে পরিচালিত হয়। কে কী বলল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;