২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সুচী

২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সুচী

শিক্ষা ডেস্ক।।

এসএসসি পরীক্ষার পূর্বনির্ধারিত সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারির (শনিবার) পরিবর্তে ৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। নতুন সংশোধিত সূচি প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার এ তথ্য প্রকাশ করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এসএসসি পরীক্ষার সংশোধিত সূচি প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।

সূচি অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ৫ মার্চ।

সূচি অনুযায়ী প্রথম দিন ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম প্রত্র, ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ৬ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি প্রথম পত্র, ৯ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, ১১ ফেব্রুয়ারি গণিত, ১২ ফেব্রুয়ারি তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি, ১৩ ফেব্রুয়ারি গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষি সঙ্গীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া এবং চারু ও কারু কলা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

১৫ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ও খ্রিস্ট ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

১৭ ফেব্রুয়ারি পদার্থ বিজ্ঞান, বাংলদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভূগোল ও পরিবেশ, ২০ ফেব্রুয়ারি রসায়ন, পৌরবিজ্ঞান ও নাগরিকতা এবং ব্যবসায় উদ্যোগ, ২২ ফেব্রুয়ারি হিসাববিজ্ঞান, ২৩ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, ২৪ ফেব্রুয়ারি জীব বিজ্ঞান ও অর্থনীতি, ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
 
অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে ২ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
 
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

গত বছর ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ছিলো ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন, ছাত্রী ছিলো ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ছিলো ৩ হাজার ৪৯৭টি।

নতুন রুটিনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন