পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের রাষ্ট্রদ্রোহিতায় মামলায় মৃত্যুদণ্ড
পোস্টকার্ড ( আন্তর্জাতিক) ডেস্ক ।।
পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন দেশটির বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার সাবেক পাক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এই সাজা ঘোষণা করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত রায় প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।
বিশেষ আদালতের এই মামলার শুনানি করেছেন তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল। বিচারকদের এই প্যানেলে ছিলেন পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠ,সিন্ধ হাই কোর্টের বিচারপতি নজর আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম।
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পক্ষে আইনজীবী আলী জিয়া বাজওয়া সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মোশাররফ। রাষ্ট্রদ্রোহ, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টো হত্যা এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণার দায়ে ২০১৩ সালে পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের হয়। পরের বছরের ৩১ মার্চ ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হলে ওই বছরই তার বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ বিশেষ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পরে আপিল বিভাগ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিলে মামলার কার্যক্রম থমকে যায়।
পরে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে পেশোয়ার উচ্চ আদালতের বিচারপতি ওয়াকার আহদেম শেঠ এর নেতৃত্বাধীন বিশেষ আদালতের বেঞ্চ গত ১৯ নভেম্বর পারভেজ মোশাররফের মামলার শুনানি শেষ করে। সেসময় ২৮ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে সরকার পক্ষের নতুন আবেদনের শুনানে শেষে ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে আদালত।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির আদালতে মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এই মামলার রায় আদালতে ঝুলে ছিল।