দেড় মাস আগে সন্তানের জন্য চুল বিক্রি করেছিলেন ওই নারী

দেড় মাস আগে সন্তানের জন্য চুল বিক্রি করেছিলেন ওই নারী
দেড় মাস আগে সন্তানের জন্য চুল বিক্রি করেছিলেন ওই নারী

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

সাংবাদিকদের তথ্য সরবরাহ করার সময় কেন দেড় মাস আগের কথা উল্লেখ করেননি, জানতে চাইলে সাথী বেগম বলেছেন, 'তখন আমার ত্রাণের প্রয়োজন ছিল। ভেবেছিলাম দেড় মাস আগে চুল কেটেছি বললে যদি ত্রাণ না পাই, তাই সময় উল্লেখ করিনি!'

নিজ সন্তানের খাবার ও দুধ কিনতে সাভারের এক মা নিজের মাথার চুল বিক্রি করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডসহ দেশের বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। গণমাধ্যমে খবর দেখে সাভারের জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। চাল, তেলসহ দেওয়া হয় নগদ অর্থ সহায়তা।

কিন্তু রাত পেরিয়ে দিন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জানা গেল, ঘটনা সত্য; তবে সেটি দেড় মাসেরও বেশি পুরনো ঘটনা। 'লকডাউনের কারণে ওই নারী অর্থ কষ্টে আছেন, তার স্বামী কাজে যেতে পারছেন না'- বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্যগুলো আসলে সঠিক নয়। ওই নারী লকডাউন ঘোষণা হওয়ার আগে এমন সমস্যায় পড়েছিলেন। লকডাউনের পরে নয়।

গণমাধ্যমকে তথ্য সরবরাহ করার সময় কেন দেড় মাস আগের কথা উল্লেখ করেননি, জানতে চাইলে সাথী বেগম বলেছেন, 'তখন আমার ত্রাণের প্রয়োজন ছিল। ভেবেছিলাম দেড় মাস আগে চুল কেটেছি বললে যদি ত্রাণ না পাই, তাই সময় উল্লেখ করিনি!'

এদিকে ওই নারী কোনো কুচক্রীমহলের সঙ্গে যোগসাজস করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চেয়েছেন বলে দাবি করেছেন সাভার পৌর মেয়র হাজী আবদুল গনি। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ওই নারী কেন তথ্য গোপন করেছিলেন- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে গণমাধ্যমে মঙ্গলবার খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই ওই নারীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন।

সাভার বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান অভি ওই দিন সন্ধ্যায় ওই নারীকে নিজ উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা করেন। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা চাল, পাঁচ লিটার তেল। এছাড়া বাচ্চার দুধ কেনার জন্য তিনি নগদ অর্থও সহায়তা করেন।

অন্যদিকে সাভার পৌর মেয়র ওই দিন রাতে ওই নারীকে নগদ চার হাজার টাকা ও দশ কেজি চাল সহায়তা করেন। এছাড়া স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকেই তাকে সহযোগিতা করেছেন।