দল ও নীতির প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ সেটা ২৭ অক্টোবর প্রমাণ করবো - নগর আ. লীগের বর্ধিত সভায় নাছির

দল ও নীতির প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ  সেটা ২৭ অক্টোবর প্রমাণ করবো - নগর আ. লীগের বর্ধিত সভায় নাছির

সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ৬টি সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধি সভা সুশৃঙ্খলভাবে সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে এই প্রতিনিধি সভা দল ও সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। কোনো রকমের অসংগতি এবং তালিকা বহির্ভূত অহেতুক অপ্রয়োজনীয় উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। তিনি বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার কার্যক্রম উপস্থাপন করে বলেন, ঐ দিন সকাল ১০টার মধ্যে পাঁচলাইশ থানার সম্মুখস্থ দি কিং অব চিটাগাং-এ তালিকাভুক্তদের উপস্থিত থাকতে হবে এবং সাড়ে ১০টায় প্রতিনিধি সভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি। এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগসহ জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। প্রতিনিধি সভা সফল করার লক্ষ্যে গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন। চলমান রাজনীতির প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ৩ দফা ক্ষমতায় আছে বলে আমাদের কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই- এটা ভুল ধারণা। কারণ নিজেদের ব্যর্থতায় ক্ষমতা হারিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তির বশংবদরা দিশেহারা। তারা বসে নেই। গুজব তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল ও অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। এরা পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত। তাদের সম্পর্কে আমাদেরকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যা চান তা-ই আমাদের চাওয়া। এর বাইরে আর কিছুই নেই। আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন। প্রধানমন্ত্রীর মিশন-ভিশন বাস্তবায়নের পথে অপশক্তির সকল অপতৎপরতা রুখে দেয়ার হিম্মত অর্জন করতে না পারলে আমাদের সকলের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। তাই অস্তিত্বই আজ বড় কথা। অস্তিত্ব বিপন্ন হলে আমরা প্রত্যেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এজন্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষা ও শুদ্ধতম রাজনীতি চর্চার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আমাদের মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টিও থাকতে পারে। কিন্তু এ নিয়ে কোনো মতান্তর ঘটতে পারে না। আমরা সকল মতান্তর আলোচনার মধ্যেই সমাধান করে নিতে পারি। তিনি মাদক, সন্ত্রাস, দূর্নীতি, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শূন্য সহনশীলতার ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী’র এই ভূমিকা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। জনগণের কাছে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি আরো বেশি উজ্জ্¦লতর হয়েছে।

তিনি বলেন, অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত কোনো অবাঞ্চিত ব্যক্তি যেনো দলে স্থান না পায়, তাদেরকে কিছুতেই আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। যে সতর্কবার্তাগুলো প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন তা আমাদেরকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। আজ আমরা যারা বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্বে আছি তাদের প্রধান কর্তব্য হলো বর্তমান সরকারের নজিরবিহীন সাফল্য-অর্জনগুলো জনগণের মাঝে তুলে ধরা এবং দলের সাংগঠনিক শক্তির ভিত্তিকে মজবুত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে বার বার ক্ষমতাসীন করার পরিবেশ ও আবহ সৃষ্টি করা। সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার হিম্মত রাখে। সামনে কঠিন দিন। এই কঠিনকে জয় করার জন্য ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা থেকে যে নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা আসবে তা থেকে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দীক্ষা ও শিক্ষা অর্জন করতে হবে। এই বর্ধিত সভায় ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস কর্মসূচি পালনসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. সুনীল সরকার, সহ-সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন এম.পি, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, বদিউল আলম, এম.এ. রশিদ, উপদেষ্টা শফর আলী, এনামুল হক চৌধুরী, শেখ মাহমুদ ইসহাক, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, সম্পাদক ম-লীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, জোবাইরা নার্গিস খান, জালাল উদ্দিন ইকবাল, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য এম.এ. জাফর, হাজী মো. ইয়াকুব, আবুল মনসুর, নুরুল আবছার মিয়া, সৈয়দ আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষাণ চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, শেখ শহীদুল আনোয়ার, এড. কামাল উদ্দিন আহমদ, নুরুল আমিন শান্তি, পেয়ার মোহাম্মদ, দোস্ত মোহাম্মদ, নুরুল আলম, গাজী শফিউল আজিম, গোলাম মো. চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মোহব্বত আলী খান, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, নিছার উদ্দিন মঞ্জু, মো. জাবেদ, বেলাল আহমদ, মো. মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের ফিরোজ আহমদ, সুলতান আহমদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, কাজী আলতাফ হোসেন, সাহাবাউদ্দিন আহমদ, আনসারুল হক, মোমিনুল হক, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি, মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, হারুনুর রশিদ, আবু তাহের, আবদুল হালিম, এ.এস.এম ইসলাম, সিদ্দিক আলম, মোহাম্মদ ইসহাক, খলিলুর রহমান, শফিউল আলম ছগির, ফয়েজ আহমদ, আবু তাহের, মো. ইলিয়াছ সহ ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।