ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যা বললেন তিন চিত্রনায়িকারা

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যা বললেন তিন চিত্রনায়িকারা
ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যা বললেন তিন চিত্রনায়িকারা

বিনোদন ডেস্ক ।।

ঢাকার কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের জেরে আন্দোলনে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় অপরাধীদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে আজও  আন্দোলন চলছে। ঢাবির পাশাপাশি ‍বিভিন্ন সংগঠনও এর প্রতিবাদে আন্দোলনে শামিল হয়েছে। এবার বিচার চেয়ে মুখ খুললেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তিন নায়িকা মৌসুমী, পপি ও অপু বিশ্বাস।

মৌসুমী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঘটনার অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত। ধর্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তির দেওয়া উচিত। শুধু এ ঘটনাই নয়, দেশজুড়ে অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এর বিচার যদি কঠোর ও দ্রুত কার্যকর করা হয়, তবে এসব ঘটনা কমে যাবে। যারা এই নোংরা কাজগুলো করছে তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। কোনো ভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া উচিত না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

চিত্রনায়িকা পপি বলেন, ‘এভাবে আর কত! ধর্ষকরা ছাড় পায় বলে দেশে বারবার এমন ঘৃণিত কাজটি হচ্ছে। অপরাধীরাও সাহস পাচ্ছে। যে কোনো সময়, যে কোনো মেয়ে এমন ঘটনার শিকার হতে পারে। আমি এসব ঘটনার কঠোর শাস্তির দাবি করছি। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক। যাতে তাদের দেখে অন্যরা ভয় পায়।’

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হন। এটা খুব দুঃখজনক। কিন্তু এর প্রতিকার হতে হবে। ধর্ষকদের এমন কোনো মর্মান্তিক শাস্তি দেওয়া উচিত যা দেখে অন্যরা এই ধরনের জঘন্য কাজ করতে সাহস পাবে না। ধর্ষকদের মনে ভয় জন্মাবে। ধর্ষকদের ওপেন প্লেসে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। এত প্রতিবাদ সত্ত্বেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না! কোনো মা, কোনো বোন, কোনো কন্যা ধর্ষিত হয়েছে- মানুষ হিসেবে এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?’

প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন।

এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।

ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

এ ঘটনায় কুর্মিটোলা থেকে ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পেয়েছে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার এজাহারে মেয়েটিকে একজন ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।