ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে প্রতিদিন পাচার হচ্ছে কোটি টাকার কাঠ
বিশেষ প্রতিবেদক।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশ সরকারী বিভিন্ন জাতের কাঠ পাচারের নিরাপদ রোড । প্রতিদিন কোটি টাকার বিভিন্ন জাতের সরকারী কাঠ চট্টগ্রাম থেকে কাভার্ডভ্যানে করে পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
চট্টগ্রামের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়ি, রাঙ্গামাটি ও রাঙ্গুনিয়ায় থেকে কাঠ পাচার হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশ দিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
গত ৬ মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশ দিয়ে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ৪০ লক্ষ টাকার সেগুন ও গামারী কাট। সেই কাঠের পরিমাণ হচ্ছে দুই হাজার আটশত ঘনফুট।
গোপন সংবাদের সূত্রে বন কর্মকর্তারা যেগুলো পান শুধুমাত্র সেগুলোই আটক করতে সক্রম হয়। সীতাকুণ্ড অংশে গত ৬ মাসে আটক হওয়া সেগুন ও গামারী কাঠের মধ্যে ১৬ সেপ্টেম্বর ২৪.৫৩ ঘনফুট, ২৫ সেপ্টেম্বর ২৪.৮২ ঘনফুট, ২৭ সেপ্টেম্বর ৬.৬৮.৫৮ ঘনফুট, ১০ অক্টোবর দরজা পাল্লা ১৪ পিস, ৬ নভেম্বর চৌকাট ৪৮ পিস, ১ডিসেম্বর ফার্নিচার ৮ আইটেম, ১০ ডিসেম্বর ফার্নিচার ৪ আইটেম, ২২ ডিসেম্বর ৫৯১.২৬ ঘনফুট, ৮ জানুয়ারী ২২.৫১ ঘনফুট, ১২ জানুয়ারী ১০৪.৬৯ ঘনফুট, ১৬ জানুয়ারী ১৭২.৭৮ ঘনফুট, ২২ জানুয়ারী ১৪৭.০৯ ঘনফুট, ৮ফেব্রুয়ারি ২২০.৯৫ ঘনফুট, এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ৫৮২.৭৯ ঘনফুট সেগুন ও গামারী কাঠ আটক করা হয়।
এছাড়া আটক করা হয় ১১ টি কাভার্ডভ্যান গাড়ী। মামলা দায়ের করা হয় ১৪ টি।
কাঠ পাচারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করছে কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতিসহ দলীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে স্থানিয় নানা সুত্র জানা যায়। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিনই কোটি কোটি টাকার সরকারী কাঠ পচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে। ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে এসব পাচারকারীরা।
এ ব্যাপারে ফৌজদারহাট বিট-কাম-চেক ষ্টেশনের ষ্টেশন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ৬ মাসে গোপন সংবাদের সূত্রে আমরা দুইহাজার ৮শত ঘনফুট সেগুন ও গামারী কাঠ কাভার্ডভ্যানসহ আটক করতে সক্রম হয়। এতে বন আইনে ১৪ টি মামলা দায়ের হয়।