জাতির জনকের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদি-প্রণব-সোনিয়া

জাতির জনকের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদি-প্রণব-সোনিয়া
মোদি-প্রণব-সোনিয়া বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

বঙ্গবন্ধু জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মগ্রহণের শততম বছর পূর্ণ হবে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ । বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দু’দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নিঃসন্দেহে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। আমরা আশাবাদী যে আগামীতে আমাদের এ সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে নিবিড়তর হবে।

তিনি আশা করেন, বন্ধুপ্রতীম ভারত এমন কিছু করবে না যাতে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরস্পর বন্ধুত্বের মাধ্যমেই বাংলাদেশ ভারত এগিয়ে যাবে, উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ রেহানাসহ ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জাতীয় কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, আওয়ামী লীগের গত সরকারের দশ জন মন্ত্রী, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুজন সাবেক গভর্নর, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতিনিধি এবং বেশ কয়েকজন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে রাখা হয়েছে এই কমিটিতে।