জঙ্গল সলিমপুর ছাড়তে মাইকিং, চলছে উচ্ছেদ প্রস্তুতি

জঙ্গল সলিমপুর ছাড়তে মাইকিং, চলছে উচ্ছেদ প্রস্তুতি
জঙ্গল সলিমপুর ছাড়তে মাইকিং, চলছে উচ্ছেদ প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

সীতাকুন্ডের জঙ্গল সলিমপুুরে অবৈধভাবে বসবাসকারীরা যাতে সরে যায় সেজন্য মাইকিং করছে প্রশাসন। আজকের মধ্যে অবৈধ বসবাসকারীরা যাতে সরে যায় সেজন্য গতকাল দিনভর মাইকিং করা হয়েছে। অন্যথায় বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার জংগল সলিমপুরের সরকারি খাস জমি উদ্ধারের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জালালাবাদ মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানে বি.এস ৭২৯ দাগে ৯.৭০ একর, শ্রেণি-পাহাড় এবং বি.এস ৭৭১ দাগে ২.৯৪ একর, শ্রেণি-পাহাড় ভূমি সরেজমিনে পরিমাপ ও পরিচিহ্নিত করে উক্ত দাগাদির ভূমিতে লাল পতাকা টাঙিয়েছে। জালালাবাদ মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত বি.এস ৭২৯ দাগে ৯.৭০ একর, শ্রেণি-পাহাড় এবং বি.এস ৭৭১ দাগে ২ দশমিক ৯৪ একর, শ্রেণি-পাহাড় ভূমি জেলা প্রশাসকের নামে বিএস জরিপ চূড়ান্ত প্রচার আছে। এই খাস খতিয়ানের ভূমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের আজকের মধ্যে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে (অবৈধভাবে বসবাসকারীগণ) অবহিত করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক বলেন, জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ে যত গভীরে যাওয়া হয় ততই বসতি দেখা যায়। আমরা বেশ কিছু অবৈধ বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। এখনও শত শত অবৈধ বসতি ও স্থাপনা রয়ে গেছে। এসব স্থাপনার সবগুলোই আমরা উচ্ছেদ করব। তবে তার আগে আরও একদিন (আজ বুধবার) সময় দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। এ সময়ের পর যেকোনো সময়ে সবকটি স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।

সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম জানান, সরকারের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে সেখানে এখন সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে ।

তিনি বলেন, স্থানীয়রা ৮শ এর বেশি স্থাপনা আছে বলে জানিয়েছেন। পাহাড়ি দুর্গম এলাকা তাই তথ্যে কিছুটা গরমিল রয়েছে। তবে এরমধ্যে আগে ২০০ এর মতে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরে আরও বেশ কিছু স্থাপনা নিজেরাই সরিয়ে নেয় বাসিন্দারা। সংখ্যা যতই থাক জেলা প্রশাসন কোনো অবৈধ বসতি রাখবে না। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে যা যা করার সবই করা হবে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;