গরমে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে সীতাকুণ্ডে

গরমে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে সীতাকুণ্ডে
গরমে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে সীতাকুণ্ডে

মেজবাহ উদ্দীন খালেদ ।।

প্রতিনিয়তই বাড়ছে তাপদাহ। গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। গ্রীষ্মের তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে নানারকম ফল খাচ্ছে মানুষ। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে তালের শাঁসও। সুস্বাদু তালের শাঁস শরীর-মনকে সতেজ রাখে। তাই তো সীতাকুণ্ড উপজেলার হাটবাজারে তালের শাঁসের বেশ কদর বেড়েছে।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ সময়ে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ সবরকম ফল বাজারে এসেছে। তেমনি এ গরমে বাজারে এসে গেছে কচি তাল। কচি তালের শাঁস পছন্দ করে এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তা ছাড়া পুষ্টিগুণে ভরা মানবদেহের জন্য উপকারী তালের শাঁস গরমে মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। যদিও কালের বিবর্তনে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে কমে গেছে তাল গাছের সংখ্যা।

পৌর সদরে এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সারি সারি সাজানো কচি তাল। সেখানে খুচরা বিক্রেতাদের কচি তাল বিক্রি করতেও দেখা গেছে। তবে এ খুচরা বিক্রেতারা চড়া দামে বিক্রি করছে। খুচরা বিক্রেতা আজিজুল হক বলেন, বছরের অন্যান্য সময় দিনমজুরের কাজ করলেও এ সময়টাতে তিনি আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে তালের শাঁস বিক্রি করে থাকেন। এবার পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়, আকারে বড় তাল ২০-২৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ১-২ হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি করি। এতে ৫-৬শ টাকা লাভ থাকে, যা দিয়ে আমাদের সংসার মোটামুটি ভালোভাবেই চলে যায়।