আধঘণ্টা দিলো পুলিশ , খাবার ও নামাজের কথা বলে ৭ মিনিটেই কর্মসূচি স্থগিত করেন রিজভী

আধঘণ্টা দিলো পুলিশ , খাবার ও নামাজের কথা বলে ৭ মিনিটেই কর্মসূচি স্থগিত করেন রিজভী

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

আধঘণ্টা সময় দিয়েছিল পুলিশ হরতালের সমর্থনে নয়াপল্টনে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরে যেতে । তখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পুলিশের কাছে ১০ মিনিট সময় চান। কিন্তু দুপুরে খাবার ও নামাজের কথা বলে ১০ মিনিট শেষ না হতেই কর্মসূচি স্থগিত করেন রিজভী।

এতে ক্ষোভ দেখা যায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। তারা সাংবাদিকদের বলেন, হরতাল দিয়ে রাস্তায় নামতে পারিনি। এ নিয়ে হাসাহাসি করছে মানুষ। এমন অবস্থায় রিজভী সাহেবের এমন আচরণ নিয়ে মানুষ আরো হাসাহাসি করছে।

নেতা-কর্মীরা বলেন, পুলিশ আধঘণ্টা সময় দিলেও ৭ মিনিটের মাথায় কর্মসূচি শেষ করেন রুহুল কবির রিজভী। দলের একজন সিনিয়র নেতার এমন আচরণ হতাশাজনক।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। এই হরতালের সমর্থনে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

প্রথমে রুহুল কবির রিজভীসহ ১০ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মীদের সেখানে অবস্থান নেন। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বাড়ে। এক সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন সেখানে এসে অবস্থান নেন। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্লোগান দেন।

স্লোগানে নেতা-কর্মীরা বলতে থাকেন- ‘ভোট চোর ভোট চোর, শেখ হাসিনার ভোট চোর’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘আজকের হরতাল, চলছে, চলবে’, দাবি আদায়ের হরতাল চলছে চলবে’, ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, মানবো না’ ইত্যাদি।

এরপর বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে দলের নেতা-কর্মীদের আধঘণ্টার মধ্যে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদুল ইসলাম। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রিজভী পুলিশের দেওয়া সময় শেষ হওয়ার আগেই সরে যান। তিনি এখন কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছেন।

রিজভী বলেন, ‘আমরা সরকারের অন্যায়গুলো তুলে ধরতে এই অবস্থান নিয়েছি। ঢাকা মহানগীর বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতা-কর্মীরা এরকম শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।