আজ চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ৪, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ জন  

আজ চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ৪, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ জন  

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

চিকিৎসকসহ চট্টগ্রাম জেলায় আরো তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৪৩ জনে। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় এ ফলাফল পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিআইটিআইডি হাসপাতালে ল্যাবে আজ মোট ১৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চারজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শনাক্তকৃতদের মধ্যে ৪২ বছর বয়সী দুইজনের একজন চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার ও অপরজন বালুছড়া এবং ২৯ বয়সী এক চিকিৎসক জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া লক্ষ্মীপুরে ৩২ বছর বয়সী আরো একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গতঃ চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৩ এপ্রিল। তিনি নগরীর দামপাড়া এক নম্বর গলির বাসিন্দা। এর দুইদিন পরেই ৫ এপ্রিল প্রথম করোনা আক্রান্ত ওই রোগীর ছেলের শনাক্ত হন। ৮ এপ্রিল তিনজন, ১০ এপ্রিল দুইজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন ও ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৮ এপ্রিল একজন ও ১৯ এপ্রিল চারজন করোনা রোগী শনাক্ত হন। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ১০ মাস বয়সী এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ মোট পাঁচজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।

অন্য দিকে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৫ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আজ বুধবার (২২ এপ্রিল)। এ নিয়ে মোট ৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে এক নারীসহ ৫ জন ছাড়পত্র পান। এর আগে গত ২০ এপ্রিল বিআইটিআইডি থেকে আরও দু’জন ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যান।

সুস্থ হওয়া এসব রোগীদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পর পর দু’বার নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। 

বুধবার ছাড়পত্র পাওয়া রোগীরা হলেন নগরীর শাপলা আবাসিকের বাসিন্দা হাসিনা বেগম, নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরা সীতাকুণ্ডের মো. আনোয়ার, নগরীর সিডিএ মার্কেট এলাকার মো. কামাল উদ্দিন, সাগরিকা এলাকার ওমর আলী ও দামপাড়া এলাকার জাহেদুল হক।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘পরপর দু’বার টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ৫ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।’

এর আগে গত সোমবার (২০ এপ্রিল) ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অভ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) থেকে বাড়ি ফেরা দু’জনের মধ্যে একজন নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার গোলাম সাইফুদ্দিন মানিক এবং অন্যজন আকবরশাহ এলাকার ওমর ফারুক।

বিআইটিআইডি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান বলেন, ‘গত দু’দিন আগে হাসপাতাল থেকে দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও অন্য সবার মতো বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে তাদের।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোট ৭ জন বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া মানে এই নয় যে তাদের ভাইরাস আর আক্রমণ করবে না। তাই সবার মতো তারাও যাতে বাসায় থাকেন সেটা তাদের নিশ্চিত করতে হবে।’