‘শেখ মুজিব শিল্প নগর’ পরিবেশ রক্ষা করেই গড়ে উঠবে: মুখ্য সচিব

‘শেখ মুজিব শিল্প নগর’ পরিবেশ রক্ষা করেই গড়ে উঠবে: মুখ্য সচিব
‘শেখ মুজিব শিল্প নগর’ পরিবেশ রক্ষা করেই গড়ে উঠবে: মুখ্য সচিব

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে তবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে শিল্প স্থাপন করতে হবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া । চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা ঘিরে এই শিল্প নগর গড়ে উঠছে ৩৩ হাজার ৮০৫ একর আয়তন জমিতে নিয়ে। 

দেশের সবচেয়ে বড় এই শিল্প নগরে কারখানা স্থাপন শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে। চলছে ২২টি কারখানার নির্মাণ কাজ। এর মধ্যে পাঁচটিতে উৎপাদনও শুরু হয়েছে।

শিল্প নগর ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, “যে কোনো বড় প্রকল্পে অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়টি জরুরি। সড়ক, সুয়ারেজ, বিদ্যুৎ, কেবল নেটওয়ার্ক, নিরাপত্তা এসব বিষয়ে সবার সাথে কথা হয়েছে।

“এখানে যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হবে সেগুলো বাস্তবায়নে কী কী করণীয় তা আলোচনা করেছি। আশা করি দ্রুততার সাথে পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে এখানে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো করা হবে।”

তিনি বলেন, “বেজার শিল্প এলাকায় যেই শিল্প কারখানা স্থাপন করা হয়, তাদের বেজার নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেসমস্ত শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ হয়েছে, তাদের জন্য কিছু রুলস আছে।

“সিইটিপি থাকবে। কারো নিজস্ব ইটিপি থাকলে সেটাতে আন্তর্জাতিক মান মেইনটেন করতে হবে। না হলে সিইটিপিতে (সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান) আসতে হবে। আমরা উন্নয়নও চাই। পরিবেশও চাই।”

এই শিল্প নগরে কর্মসংস্থান নিয়ে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, “১৪ লক্ষ মানুষ এখানে কাজ করবে। তাদের নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা, এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পুলিশি সহায়তাগুলো বৃদ্ধি করতে হবে। থানা তৈরি করতে হবে। তাদের মুভমেন্ট ও অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষযে আলোচনা হয়েছে।”

বেজা কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরীতে থাকছে কেন্দ্রীয় তিনটি বর্জ্য শোধনাগার। ৩৩ হাজার ৮০৫ একর আয়তনের এই শিল্প নগরীর ১৭ হাজার একর ভূমিতে কারখানা স্থাপন করা যাবে।

বাকি এলাকার মধ্যে খোলা জায়গা, বনায়ন, বন্দর সুবিধা, আবাসন, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ, বিনোদন কেন্দ্র, সবুজায়ন ও উন্মুক্ত স্থান থাকবে।এসময় বেজা, বেপজা, প্রশাসন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সভা করেন মুখ্য সচিব। 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;