মৃগী রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয় চিকিৎসায় :আন্তর্জাতিক মৃগী রোগ’ দিবসে বক্তারা

মৃগী রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয় চিকিৎসায় :আন্তর্জাতিক মৃগী রোগ’ দিবসে বক্তারা

পোস্টকার্ড প্রতিবেদন।।

পরিবার এর কোনো সদস্যের মাঝে মৃগী রোগের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে বৈদ্য কিংবা কবিরাজের কাছে নয়, পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা।

‘আন্তর্জাতিক মৃগী রোগ’ দিবস উপলক্ষে গত রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ডা. শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করে চমেক শিক্ষক সমিতি ও নিউরোলজি বিভাগ। সেখানে এ আহ্বান জানান চিকিৎসকরা। দিবসটি কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার সকালে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হাসপাতালের আশপাশ প্রদক্ষিণ করে। অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হক শোভাযাত্রাটি উদ্বোধন করেন। সেমিনারে ‘নারী ও মৃগীরোগ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান।

তিনি বলেন, মৃগী রোগ নিয়ে সমাজে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। শুধুমাত্র রোগের ইতিহাস এবং খিচুনির ভিডিও দেখে কোনোরকম দামি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। ৯০ শতাংশ রোগী ওষুধ খেয়ে ভালো থাকে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগীকে ২ থেকে ৫ বছর ওষুধ খেতে হয়। তারা রোগমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। চিকিৎসায় মৃগী রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়।

ডা. হাসানুজ্জামান আরো বলেন, মৃগীরোগে আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের আগে ও গর্ভকালীন সময়ে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে সুস্থ থাকতে পারবেন। সুস্থ বাচ্চাও জন্ম দিতে পারবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, ডা. আনোয়ারুল কিবরিয়া, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. একরামুল আজম, নিউরোলজিস্ট সীমান্ত ওয়াদ্দাদার, ডা. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।